স্টাফ রিপোর্টার ॥ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হচ্ছে আজ। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। তবে দুপুর ১২টা থেকে পরীক্ষার্থীরা তাদের ফল জানতে পারবেন। ফল স্ব স্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট, নিজ প্রতিষ্ঠানের মেইলে ছাড়াও মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানা যাবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেছেন, সকাল সাড়ে ১০টায় পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। মন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর দুপুর ১২টা থেকে ফল সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী দেশে না থাকায় আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেব। সাধারণত সংবাদ সম্মেলনে ফল প্রকাশের আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানরা। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারী সফরে লন্ডনে অবস্থান করায় এবার সেই ব্যবস্থার ব্যত্যয় হচ্ছে। তবে লিখিত পরীক্ষার ৬০ দিনের মধ্যেই প্রকাশ হচ্ছে ফল। আগামী ৯ মে পরীক্ষা শেষের ৬০তম দিন পূর্ণ হবে। ফলে এবার তিনদিন আগেই ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেছেন, ফল প্রকাশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। সাধারণ আট বোর্ডসহ দেশের ১০ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়। এ পরীক্ষায় সারাদেশে মোট ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৭ লাখ ১০২, দাখিল তিন লাখ ১০ হাজার ১৭২ এবং এসএসসি ভকেশনালে এক লাখ ২৫ হাজার ৫৯ পরীক্ষার্থী।
যেভাবে জানা যাবে ফল ॥ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এ জন্য ঝঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। মাদ্রাসা বোর্ডের ক্ষেত্রে উধশযরষ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
এছাড়াও কারিগরি বোর্ডের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার ফল জানতে ংংপ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
এছাড়াও www.educationboardresults.gov.bd এ ওয়েবসাইটে গিয়ে ফল ডাউনলোড করা যাবে। তবে বোর্ড থেকে ফলের কোন হার্ডকপি সরবরাহ করা হবে না। বিশেষ প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দফতর থেকে ফলের হার্ডকপি সংগ্রহ করা যাবে।
উল্লেখ্য, গত বছর তার আগের বছরের তুলনায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার কমেছিল। কমেছিল শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান, বেড়েছিল শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। তবে বেড়েছিল সর্বোচ্চ মেধা স্কোর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
পাস করেছিল ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পায় এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। তার আগের বছর ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল, জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: