ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোহাম্মদ জসীমউদ্দীন

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানুন

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ১১ এপ্রিল ২০১৯

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানুন

অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা রোধ ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের এসব নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা হলো- ১. যথাযথ প্রক্রিয়ায় ও আইনকানুন মেনে বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে কি-না তা সরেজমিন পরিদর্শন করে ক্লিয়ারিং সনদ দেবে ফায়ার সার্ভিস। ২. ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধের সক্ষমতার বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করবে ফায়ার সার্ভিস। ৩. ফায়ার সার্ভিসের সনদ এক বছর পরপর নবায়ন করা যায় কি-না তা দেখতে হবে, যেভাবে কলকারখানার সনদ প্রতিবছর নবায়ন করা হয়। ৪. অগ্নিকাণ্ডের সময় ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ, আগুনে দগ্ধ হওয়ার ধোঁয়ায় আক্রান্ত হয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। এজন্য ধোঁয়া কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার উপায় বের করতে হবে। ৫. ফায়ার সার্ভিস যাতে অবাধে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার সার্ভিস অবাধে কাজ করতে পারে না। এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। ৬. বহুতল ভবনে শতভাগ ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটলে নিরাপদে মানুষ বের হয়ে আসতে পারে। ৭. ঢাকা শহরের জলাধার সংরক্ষণ করতে হবে, যাতে অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার সার্ভিসের পানি পেতে সমস্যা না হয়। এখন ঢাকা শহরে খাল-ডোবা ভরাট হয়ে গেছে। যেসব খাল-ডোবা ভরে গেছে সেগুলো খনন করে সংস্কার করতে হবে। ঢাকার লেকগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। ধানম-ি ও গুলশান লেক যাতে কেউ দখল করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। নতুন জলাশয় তৈরি করার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ৮. ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা ও ল্যাডারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এখন ফায়ার সার্ভিসের সাকুল্যে তিনটি ল্যাডার আছে, যেগুলো ২৩ তলা পর্যন্ত যেতে পারে। ল্যাডার বৃদ্ধি করে যাতে ২৩ তলার ওপরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেতে পারে। ৯. হাইরাইজ বিল্ডিংয়ে একাধিক বের হওয়ার পথ রাখতে হবে। অনেক ভবনে একটি পথ থাকায় হুড়োহুড়িতে মানুষ মারা যায়। ১০. ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিবেশ ও বাস্তবতার দিক চিন্তা করে নকশা তৈরি করতে হবে। স্থপতিরা যাতে সতর্কতার সঙ্গে প্লান তৈরি করেন। যে ঘরগুলো তৈরি করা হয় তা অনেকটা ম্যাচ বাক্সের মতো। এখানে কোন দরজা-জানালা থাকে না। অগ্নিকাণ্ডের সময় এবার এটা ভেঙে বেরুতে হয়েছে। দরজা, জানালা বা বারান্দা যাই থাক, বের হওয়ার একটা সুযোগ যেন থাকে। ফায়ার এক্সিট নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর যুগপোযোগী নির্দেশনাসমূহ মেনে চলবে। খুলনা থেকে
×