ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

ইসির শোক প্রকাশ

সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৩৪, ৫ জুলাই ২০২৫

সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা আর নেই

এটিএম শামসুল হুদা

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এটিএম শামসুল হুদা আর নেই। শনিবার সকালে গুলশানের বাসভবনে মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি... রাজিউন)।  তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শামসুল হুদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভগ্নিপতি আশফাক কাদেরী। তিনি জানান, সকাল ৯টায় বাসায় মারা যান সাবেক সিইসি। পরে তাকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তার মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর জানাজা ও দাফন কাজ সম্পন্ন হবে। সাবেক এই সিইসিকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। 
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 
ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক এ শোক বার্তা দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গভীর শোক ও দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এটিএম শামসুল হুদা আজ ইন্তেকাল করেছেন। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে। আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন।
এক মাস আগে ঘরের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেটার চিকিৎসা চলছিল বলেও জানান আশফাক কাদেরী।
এটিএম শামসুল হুদা শ্যালক আশফাক কাদেরী জানান, উনি ঢাকায় বাসায় মারা গেছেন। পরে নেওয়া হয় ইউনাইটেড হাসপাতালে। মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসলে জানাজার সিদ্ধান্ত। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। 
২০০৭ সালে ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এটিএম শামসুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নেন। তিনি কাজ করেন ২০১২ সাল পর্যন্ত। ভোটের আগে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন হয় এই কমিশনের সময়। সংলাপ করে নির্বাচনী আইন সংস্কার করা হয়। চালু হয় রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নিয়ম ও ইভিএম।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন করে শামসুল হুদা কমিশন। ৮৭ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতিতে সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০, বিএনপি ৩০ ও জাতীয় পার্টি ২৭ আসন লাভ করে।
শামসুল হুদা ১৯৪২ সালে ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।  স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস (সিএসপি) থেকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) যোগদান করেন। তার কর্মজীবনে তিনি বাগেরহাট মহকুমার প্রশাসক, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

×