
ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্ব বাণিজ্যে ফের উত্তেজনা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার ১২টি দেশের উদ্দেশ্যে শুল্ক আরোপের নোটিশ সই করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব দেশে রপ্তানিকৃত বিভিন্ন পণ্যের ওপর কত শতাংশ হারে শুল্ক বসবে— সে বিষয়েই জানানো হবে আনুষ্ঠানিকভাবে। চিঠিগুলো সোমবার (৮ জুলাই) পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই।
শুক্রবার নিউ জার্সির উদ্দেশ্যে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সফরকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “আমি কিছু চিঠি সই করেছি— সম্ভবত বারোটা হবে। সেগুলো সোমবার পাঠানো হবে। বিভিন্ন পণ্যে ভিন্ন ভিন্ন হারে শুল্ক আরোপ করা হবে।”
তবে কোন কোন দেশ এই তালিকায় রয়েছে, তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। ফলে বাংলাদেশ এই তালিকায় আছে কিনা, তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
২০২৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে আবারও ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির ব্যানারে শুল্ক আরোপের পথে হাঁটছেন ট্রাম্প।
এ বছরের এপ্রিলেই তিনি অভিযোগ করেন, “অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক বসিয়েছে। তাই তাদের যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতেও পাল্টা শুল্ক গুণতে হবে।”
এ প্রেক্ষিতে তিনি ঘোষণা করেন:
-
সর্বনিম্ন ১০% শুল্ক সব দেশের জন্য
-
কিছু দেশের ক্ষেত্রে ৫০% পর্যন্ত শুল্ক
পরে ৯০ দিনের জন্য এ শুল্ক কার্যকর স্থগিত রাখা হয়, যা ৯ জুলাই শেষ হয়ে যাচ্ছে। নতুন ঘোষণায় ৭০% পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। আর এই শুল্ক ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করছে, তারা শুল্ক নিয়ে সব দেশের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করতে চায়। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের সঙ্গে সেই আলোচনা সফল হয়নি।
এই প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বহুপাক্ষিক বাণিজ্য কাঠামোর ওপর এর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল রপ্তানিনির্ভর দেশগুলোর জন্য এটি উদ্বেগজনক হতে পারে, যদি বাংলাদেশও এই ১২ দেশের তালিকায় পড়ে।
নুসরাত