ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আগামী বাজেটে ডিএসইর একগুচ্ছ প্রস্তাব

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ৩ এপ্রিল ২০১৯

আগামী বাজেটে ডিএসইর একগুচ্ছ প্রস্তাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজার উন্নয়নে আসন্ন বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা স্টক একচেঞ্জে (ডিএসই)। এই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে ডি-মিউচুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জের কর অবকাশ সুবিধা বৃদ্ধি করা, করমুক্ত আয় ও করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের পরিমাণ বাড়ানো, বহুজাতিক কোম্পানি ও স্থানীয় ব্লু-চিপ কোম্পানিগুলোকে এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করতে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করের ব্যবধান বাড়ানো। মঙ্গলবার এনবিআরের কার্যালয়ে ডিএসইর পক্ষ থেকে পাঠানো বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে প্রচলিত নিয়মে পূর্ণ কর অব্যাহতির পরিবর্তে ২০১৪-১৫ অর্থবছর হতে ৫ বছর মেয়াদী ক্রমহ্রাসমান হারে কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হয়। তবে সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় বৎসরও পূর্ণ কর অবকাশ প্রদান করেন। এখানে উল্লেখ্য, আয়কর ধারা ৫৩ বিবিবি, ৫৩এম, লভ্যাংশ কর এবং বিও এ্যাকাউন্ট চার্জ ইত্যাদি বাবদ সরকার ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রায় ৩৭৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। অন্যদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মাত্র ৭৭ কোটি টাকা লেনদেন ফি আয় করে যা সরকারী কোষাগারে জমাকৃত করের মাত্র ২০ শতাংশ। ডিএসইর লেনদেন ২৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত হলে এসব খাত হতে সরকার বাৎসরিক ১ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করবে। অর্থাৎ এক্সচেঞ্জের আয়ের ওপর করের পরিবর্তে লেনদেন বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার অধিকতর লাভবান হতে পারে। এই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে যে, ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পূর্বে এক্সচেঞ্জের আয় করমুক্ত ছিল। এখন যদি আয়কর আরোপ করা হয় তবে সরকার, স্টক একচেঞ্জ ও দেশের সকল বিনিয়োগকারী প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমানে ডিএসই পরিচালন ক্ষতির সম্মুখীন। এই পরিস্থিতিতে এক্সচেঞ্জের আয়ের ওপর যদি করারোপ করা হয়, সেক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে লেনদেন ফির হার বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হবে, যা প্রকারান্তে সাধারণ বিনিয়োগকারীর ওপরই বর্তাবে।
×