ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজার বেসরকারী খাতের অর্থায়নে ভূমিকা রাখতে পারে ॥ সিএসই

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ৩ এপ্রিল ২০১৯

শেয়ারবাজার বেসরকারী খাতের অর্থায়নে ভূমিকা রাখতে পারে ॥ সিএসই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বর্তমানে দেশে লক্ষাধিক কোম্পানি নিবন্ধিত রয়েছে। এর মধ্যে থেকে কমপক্ষে কয়েক হাজার কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। অথচ শুধুমাত্র কয়েকশ কোম্পানি তালিকাভুক্ত আছে। যা খুবই নগন্য। অথচ দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করতে বেসরকারী খাতে শেয়ারবাজারের অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। মঙ্গলবার বাজেট প্রস্তাবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) এসব কথা বলেন। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন। এম সাইফুর রহমান বলেন, শুধুমাত্র ব্যাংক নির্ভর বেসরকারী বিনিয়োগ ও পুঁজি সঞ্চালন শেয়ারবাজারের বিকাশের প্রতিবন্ধকতা। অন্যদিকে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে দুর্বল করে তোলে। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে শেয়ারবাজারের টেকসই উন্নয়ন গুণগত সম্প্রসারণের প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে দেশের শেয়ারবাজারে ব্যাপক কাঠামোগত এবং আইনী সংস্কার হয়েছে। তবে চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নে শেয়ারবাজারের ভূমিকা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন সঠিক কৌশল নির্ধারণ। কারণ দেশের বিকাশমান অর্থনৈতিক অগ্রযাথায় শেয়ারবাজারের অংশগ্রহণ এবং ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় শেয়ারবাজারের উন্নয়নে এনবিআরের কাছে ৯টি প্রস্তাব তুলে ধরে সিএসইর এমডি। এর মধ্যে অন্যতম- তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা। এছাড়া নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয় ৩ বছর করমুক্ত রাখা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রথম ৩ বছর শূন্য ও পরবর্তীতে ১০ শতাংশ হারে কর চার্জ করা, করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা করা, এক তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে আরেক কোম্পানির প্রাপ্ত লভ্যাংশের ওপর কর মওকুফ করা, সকল প্রকার বন্ডের সুদের ওপর কর অব্যাহতি করা, বন্ড লেনদেনের ওপর কর অব্যাহতি, অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহকে সাধারণ তালিকাভুক্ত কোম্পানির ন্যায় সুবিধা প্রদান করা, কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য সিএসইকে কর অব্যাহতির সুযোগ দেয়া এবং স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে উৎসে আয়কর হার ০.০৫ শতাংশ থেকে পূর্বের ০.০১৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
×