মার্চ মাস এলেই যেসব প্রয়াত ব্যক্তির কথা মনে পড়ে, মেরিয়েটা প্রকোপে তাদের অন্যতম। এবার মেরিয়েটার কথা আরও বেশি মনে পড়ছে এ জন্য যে, মাত্র কিছুদিন আগে পল কনেট এবং এলেন কনেট বাংলাদেশ সফর করে গেলেন।
১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে যে শ্বেতাঙ্গ মহিলা, রিকগনাইজ বাংলাদেশ ‘স্টপ জেনোসাইড’ এবং ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দিয়ে লন্ডনের রাজপথসমূহ কাঁপিয়ে তুলত, তারই নাম মেরিয়েটা প্রকোপে।
মেরিয়েটার সঙ্গে আমাদের পরিচয় ১৯৭১-এর এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে। তারিখটি ঠিক মনে করতে পারছি না, তবে নিশ্চয়ই ২০ এপ্রিলের পূর্বে। সেই দিনটিতে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কার্যালয়ে ফোন করলেন ‘পিস নিউজ’ পত্রিকার সম্পাদক রজার মুডি। বললেন, কিছু অবাঙালী বাংলাদেশে চলমান গণহত্যা, গণধর্ষণের খবরে বিচলিত হয়ে কিছু একটা করার সংকল্প নিয়েছেন এবং সে উদ্দেশ্যে ‘পিস নিউজ’ পত্রিকার কিংস ক্রস এলাকার দফতরে এক ছোট্ট বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।
রজার চাইলেন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কয়েকজন প্রতিনিধির উপস্থিতি। সেই সময়টায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, মহিলাদের একটি এবং ডাক্তারদের একটি- এই তিনটি সংস্থায়ই মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে যুক্তরাজ্যে কাজ করছিল। এছাড়া ছিল কার্ডিফে প্রয়াত সেলিম আহমেদের নেতৃত্বে ইস্ট বেঙ্গল লিবারেশন ফ্রন্ট।
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে এই মর্মে সিদ্ধান্ত হলো যে- আমি, সংস্থার ২নং আহ্বায়ক খন্দকার মোশারফ (বর্তমানে বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশারফ) এবং মাহমুদ এ রৌফ (বর্তমানে লন্ডনে এ্যাকাউন্টনেন্সি পেশায় নিয়োজিত এবং ইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতা) পিস নিউজের সভায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের প্রতিনিধিত্ব করবে। সন্ধ্যায় আমরা তিনজন পিস নিউজ অফিসে যাওয়ার পর দেখলাম পল কনেট নামক এক যুব লিবারেল একটিভিস্টকে, দেখলাম পিএইচডির ছাত্রী মেরিয়েটা প্রকোপে এবং সংসদ সদস্য মাইকেল বার্নসকে। বাংলাদেশের অভূতপূর্ব গণহত্যা এবং নির্যাতনের কথা শুনে তারা সকলেই উৎকণ্ঠিত। তাদের কথা, সারা বিশ্ব কি করে এগুলো সহ্য করছে, কেন কেউ কিছু করছে না, কেন সবাই মুখ বুজে আছে। তারা বলেন, এ গণহত্যা তো হিটলারের গণহত্যার চেয়েও পৈশাচিক। পল কনেট বললেন, আর যেই চুপ করে থাক না কেন তাদের অবশ্যই কিছু করতে হবে। মেরিয়েটা বললেন, তিনি সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চান। তিনি বললেন, ব্রিটিশ এবং ইউরোপের অন্যান্য রাষ্ট্র নায়কদের বাধ্য করতে হবে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে।
আমরা পলকে জিজ্ঞাসা করলে পল বললেন- পৃথিবীর যে কোন জায়গায় নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি সব সময়ই কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন এবং এর পূর্বে তিনি ভিয়েতনামের এবং বিয়েফ্রার মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে পথে নেমেছিলেন। মেরিয়েটা বললেন, বাঙালীদের ওপর পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষের অবিচার, নির্যাতন এবং অন্যায় আচরণে কথা তিনি তার পরিচিত জন ফজলে হাসান আবেদের (বর্তমানে ব্র্যাক প্রধান স্যার ফজলে হাসান আবেদ) কাছ থেকে শুনেছেন।
সেদিনই মূলত অবাঙালীদের সংস্থা ‘একশন বাংলাদেশ’ এর জন্ম হলো। এর প্রধান হলেন পল কনেট এবং সাধারণ সম্পাদক হলেন মেরিয়েটা। এক রাষ্ট্রদূতের তনয়া মেরিয়েটার ছিল উত্তর লন্ডনের কেমডেন টাউন এলাকার ৩৪নং স্ট্রেটফোর্ড ভিলায় একটি বহুতল ভবন। সেই বিশাল ভবনের পুরো একটি তলা মেরিয়েটা একশন বাংলাদেশকে প্রদান করলেন সংস্থার কাজ চালানোর জন্য, প্রদান করলেন তার গাড়িটিও। এছাড়াও ‘একশন বাংলাদেশ’ চালানোর পুরো আর্থিক দায়িত্ব মেরিয়েটাই নিলেন। এই সংস্থার খবর প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বহু অবাঙালী এতে কাজ করতে এগিয়ে এলেন। যে ক’জনের নাম আজ মনে করতে পারছি তারা ছিলেন পলিন, গডউইন, বারবারা, রেবা ফরনাসেকা, জন ওকোনার, পলের স্ত্রী এলেন কনেট, ছিলেন মেরিয়েটার পরিচারিকা ৮৫ বছরের মিসেস ডি। এছাড়া প্রতিদিন অন্তত ১২ ঘণ্টা সময় দিতে একশন বাংলাদেশের কাজে আসতো কয়েকজন বাঙালীসহ আরও অনেকে। তাদের কাজের মধ্যে ছিল লন্ডনের রাজপথে শোভাযাত্রা, এমপিদের লবিং করা, রাজনৈতিক দলীয় সম্মেলনে লবিং করা, বিভিন্ন দূতাবাস লবিং করা, লিফলেট বিতরণ, বিজ্ঞাপন এবং সংবাদ প্রেরণ, গণসমাবেশ ইত্যাদি। একশন বাংলাদেশ মূলত অবাঙালীদের সংস্থা হওয়ায় এর আবির্ভাবের পর যুক্তরাজ্যেসহ সমগ্র ইউরোপে বাংলাদেশ আন্দোলনের কার্যকারিতা অনেক ব্যাপকতা লাভ করে। আস্তে আস্তে বহু বাঙালীও ঐ সংস্থায় সময় দিতে শুরু করে। যেসব বাঙালীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তাদের মধ্যে ছিলেন জনাব ফজলে হাসান আবেদ, আবদুল মজিদ চৌধুরী মঞ্জু, আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার (পরবর্তী সময়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী), রাজিউল হাসান রঞ্জু (পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রদূত), আনিসুর রহমান (বর্তমানে লন্ডনে আইন পেশায় এবং ওয়েস্ট মিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক যিনি ব্রিটিশ রাণীর থেকে ওবিই উপাধি এবং সিটি অব লন্ডন থেকে ‘ফ্রি মেন অব লন্ডন’ উপাধি পেয়েছেন), সুরাইয়া খানম (পরবর্তী সময়ে ড. সুরাইয়া খানম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজীর প্রভাষিকা এবং পরে আমেরিকায় বসবাস, বর্তমানে প্রয়াত বলে জেনেছি), নৃত্যশিল্পী ফাহমিদা মঞ্জু মজিদ (কবি গোলাম মোস্তফার দৌহিত্র), রুনি সুলতানা, প্রয়াত নুরুল আলম রকি, লুলু বিলকিস বানু (ভিকারুন নেসার প্রাক্তন প্রধান) এবং তার দুই মেয়ে জেরিন এবং আফরিন, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ৩নং আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম আলো। আনুষ্ঠানিকভাবে ১ আগস্ট বাংলাদেশের পক্ষ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর মহিউদ্দিন আহমেদ (পরবর্তীকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব) ও একশন বাংলাদেশের কর্মকান্ডের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যান।
একশন বাংলাদেশের দুটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের মধ্যে ছিল ট্রাফালগার স্কোয়ারের ১ আগস্ট র্যালির আয়োজন যাতে কমবেশি ২০ হাজার লোকের জমায়েত হয়েছিল এবং জুলাই মাসে ট্রাফালগার স্কোয়ার থেকে একশন বাংলাদেশেরই একটি সৃষ্টি অপারেশন ও মেগার ত্রাণ এবং ওষুধ সামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা যাতে প্যালের স্ত্রী এলেন ও ছিলেন এবং যা শেষ হয় যশোর সীমান্তে পাকিস্তানী সেনাদের হাতে এলেন কনেটের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে। জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে শ্রী বিমান মল্লিক সর্বপ্রথম বাংলাদেশের ডাক টিকেট প্রদর্শন করেন।
জুলাই মাসে একশন বাংলাদেশ Stop aid to Pakistan শিরোনামে একটি আন্দোলন শুরু করে যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বব্যাংকে এই মর্মে চাপ সৃষ্টি করা যাতে তারা পাকিস্তানে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেয়। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে একশন বাংলাদেশ ৭৫জন সদস্য নিয়ে প্যারিসে বিশ্বব্যাংক বিল্ডিংয়ের সামনে বিক্ষোভ করলে, বিশ্বব্যাংক কর্তা ব্যক্তিরা এই আয়োজনের সভাপতি পল কনেট, কো-চেয়ারম্যান মেরিয়েটা প্রকোপে এবং আব্দুল মজিদ চৌধুরী মঞ্জুকে দফতরে ডেকে নিয়ে তাদের কথা শোনার পর পাকিস্তানে আর্থিক সাহায্যে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
আর একদিনের কথা। মি. বয়েড নামে এক স্কটিশ শ্রীমঙ্গলে জেমস ফিনলের চা বাগানের ম্যানেজার থাকাকালে তিনি পাকিস্তানী সেনাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তথ্য দিলে পাকিস্তানী সৈন্যরা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা এসে মিঃ বয়েডকে হত্যা করে। মিঃ বয়েডের লন্ডনবাসী কন্যা পিতার খোঁজ না পেয়ে একশন বাংলাদেশে এলে মেরিয়েটা তাকে তার বাবার খবর জানালে বয়েড সাহেবের মেয়ে ভেঙে পড়েন। মেরিয়েটা তখন মেয়েটিকে বোঝান তার বাবা অন্যায় করেছে বলেই তার এই পরিণতি হয়েছে।
মেরিয়েটা বেশ কিছুক্ষণ মেয়েটিকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো মুক্তিযুদ্ধের ওপর কথা বললে মেয়েটি একশন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। এ ধরনেরই সম্মোহনি শক্তি ছিল মেরিয়েটার।
একশন বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের বাইরে ইউরোপেও তাদের কর্মকান্ড প্রসারিত করেছিল যাতে মেরিয়েটার নেতৃত্ব ছিল দৃশ্যমান। সেই দিনগুলোতে পল এবং মেরিয়েটার সংশ্লিষ্টতা ছাড়া একশন বাংলাদেশ ফলপ্রসূ সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে বা টিকে থাকতে পারত না।
বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর মেরিয়েটা বাংলাদেশ এসেছিলেন। তিনি গণহত্যা, নির্যাতন এবং গণধর্ষণের কাহিনী প্রত্যক্ষভাবে জানার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। লন্ডনে ফিরে গিয়েও তিনি আর সেই কাহিনীগুলো তুলতে না পেরে অবশেষে আত্মহননের পথ বেছে নেন।
তার মৃত্যুর পর করোনারের ইনকোয়েস্টে পল কনেট (সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম) বক্তব্যে বলেন, মেরিয়েটার কোমল হৃদয় বাংলাদেশের গণহত্যার কাহিনী সহ্য করতে পারেনি। মানুষ এত নির্মম হতে পারে মেরিয়েটা তা চিন্তাও করতে পারেনি।
লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারের গির্জা সেন্ট মার্টিন অন দি ফিল্ডে মেরিয়েটার সার্ভিস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অত্যন্ত আবেগময় বক্তৃতা দিয়েছিলেন লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-রাষ্ট্রদূত প্রয়াত ফারুক আহমেদ চৌধুরী। আমিসহ বেশ ক’জন বাঙালীর মধ্যে কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমেদও ছিলেন।
মেরিয়েটা ছিলেন রবীন্দ্র সঙ্গীত ভক্ত। তার বিশেষ পছন্দের দুটি রবীন্দ্র সঙ্গীত সেদিন সেই গির্জার অনুষ্ঠানে গাইতে হয়েছিল আমাকে এবং রুনি সুলতানাকে। গান দুটি ছিল ‘আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে’ এবং ‘আশা যাওয়ার পথের ধারে।’
২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধের বিদেশী বন্ধু হিসেবে যে সব নিবেদিতপ্রাণ মানুষকে সম্মাননা দিয়েছেন, তাদের মধ্যে পল কনেট এবং এলেন কনেটও রয়েছেন। এ জন্য বাংলাদেশ সরকার নিশ্চয়ই প্রশংসা এবং সাধুবাদের দাবিদার। তবে এ সম্মাননা মরোণত্তোর মেরিয়েটাকেও দেয়া উচিত ছিল বলে আমার মতো যারা বিলেতে মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলনের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, তারা মনে করেন। আমার বিশ্বাস এ কথা প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, যিনি একশন বাংলাদেশের কিছু কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছিলেন, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের প্রাক্তন প্রধান আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোসেন মঞ্জু, ২ নং আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশারফ, ব্র্যাক প্রধান স্যার ফজলে হাসান আবেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব মহিউদ্দন আহমেদ, প্রাক্তন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত রাজিউল হাসান রঞ্জু, প্রাক্তন মন্ত্রী জাকারিয়া খান চৌধুরী, একশন বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা আবদুল মজিদ চৌধুরী মঞ্জু, জাদুঘরের প্রাক্তন প্রধান ড. এনামুল হক যিনি ১ আগস্ট একশন বাংলাদেশ আয়োজিত ট্রাফালগার স্কোয়ার র্যালিতে ভূমিকা রেখেছিলেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ, সহ-সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, ব্যারিস্টার আনিসুর রহমান ওবিই, বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রাক্তন একাউন্টস প্রধান লুৎফল মতিন, এ্যাকাউন্ট্যান্ট মাহমুদ এ রৌফ (ইউরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতা) সমর্থন করবেন। কেউ কেউ বলেছেন, মেরিয়েটার পক্ষে সম্মাননা গ্রহণের জন্য কাউকে পাওয়া যায়নি বলে তার নাম আসেনি। কিন্তু আমার জানা মতে, যা পল কনেট তার সাম্প্রতিক সফরকালে নিশ্চিত করেছেন, মেরিয়েটার দুই সহোদর জীবিত রয়েছেন এবং ক্যামব্রিজ বিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করছেন। তাদের নাম জন প্রকোপে এবং ফ্রেড্রিক প্রকোপে। তারা ক্যামব্রিজে বসবাস করেন।
মাননীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক এমপি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন এমপির কাছে অনুরোধ থাকবে তারা যেন মেরিয়েটারকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করেন। তার চেয়েও বড় কথা আমাদের মুক্তি সংগ্রামের জন্য এই নিবেদিত ব্যক্তিত্বকে যেন ভুলে না যাই।
লেখক : আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি