ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল আমদানি বন্ধ করতে চায় এনবিআর

প্রকাশিত: ০৭:৫২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল আমদানি বন্ধ করতে চায় এনবিআর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল দূর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। সরকার চাইলে পুরান ঢাকার ঠিকানায় সব কেমিক্যাল আমদানি বন্ধ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড(এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় এনবিআরের কনফারেন্স কক্ষে সদ্য সমাপ্ত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সেরা ভ্যাট দাতা ১০ প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমি শিল্প মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনকালে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের জন্য বিসিকের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জে জমি প্রস্তুত করেছিলাম। যদিও জমি প্রসেস হতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তারাও যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এখন সরকারিভাবে ঘোষণা করতে হবে পুরান ঢাকার ঠিকানায় কোনো কেমিক্যাল আমদানি নয়। একইভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের এলসি খোলা বন্ধ করতে হবে। তাহলে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হবেন। প্রাণহানি ঘটার সম্ভাবনাও থাকবে না। এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ব্যবসায়ী মহলে ভ্যাট নিয়ে একটা ভীতি আছে, আমরা যেনো মুখোমুখি না দাঁড়ায়। আমরা ভ্যাট দিতে চায়। আমাদের দেখতে হবে কীভাবে ইনকাম ট্যাক্স কমানো যায় কীভাবে ভ্যাট নেট বাড়ানো যায়। কোনো এলাকায় একি ব্যবসায়ীমহলের কাছে যেনো না যাওয়া হয়, এতে অন্যরা বাদ পড়ে যায়। দেশ গড়তে সবাই মিলে ভ্যাট দেব। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের এগিয়ে যেতে হলে ট্যাক্স দিতে হবে। গত মেলার চেয়ে এবার ৪০ শতাংশ বেশি হয়ে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। ২০১৮ সালে যেটা ছিল ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। অনুষ্ঠানে ভ্যাট সম্মাননা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- হাতিল কমপ্লেক্স, ওয়াটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, এসকোয়ার ইলেক্ট্রনিক্স, র্যাংগস ইলেক্ট্রনিক্স, বাটার ফ্লাই মাকেটিং, আর এফএল ইলেক্ট্রনিক্স, ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স, ডিউরেবল প্লাস্টিক, নাভানা ফার্নিচার এবং রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ। কাস্টমসের (এক্সাইজ ও ভ্যাটকমিশনারেট) ঢাকা পশ্চিমের কমিশনার ড. মইনুল খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিল রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম এবং এনবিআরের সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) শাহনাজ পারভীন। এবারের মেলায় দেশি-বিদেশি মিলে ৫৬৯টি প্রতিষ্ঠানের স্টল অংশগ্রহণ করে। মেলা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৭ কোটি ১ লাখ টাকা। লক্ষমাত্রা ছিল ৬ কোটি টাকা। এর আগের বছর আয় হয়েছিল ৫ কোটি টাকা।
×