ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডব্লিউটিএ ফাইনালস

স্টিফেন্সের কাছে হার ওসাকার

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

স্টিফেন্সের কাছে হার ওসাকার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ বছরের শুরুতেও চিন্তাটা একবারও আসেনি কারও মাথায়। জাপানের ২১ বছর বয়সী তারকা নাওমি ওসাকা হুট করেই চমক দিতে শুরু করেন। সেটা নিয়মিত হতে থাকার পর আর চমক নয় বরং সবাই তার যোগ্যতা ও সামর্থ্য হিসেবেই বিবেচনা করেছেন। সেই ওসাকা এবারই প্রথম বছর শেষের মর্যাদাপূর্ণ টেনিস আসর ডব্লিউটিএ ফাইনালস খেলার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু শীর্ষ ৮ জন মহিলা টেনিস খেলোয়াড় নিয়ে অনুষ্ঠিত এ আসরে নিজের অভিষেক ম্যাচেই হার দেখেছেন এবার ইউএস ওপেন জয়ী ওসাকা। ম্যাচে ভুলে ভরা এ জাপানিজ বিস্ময়কে তিন সেটের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৭-৫, ৪-৬, ৬-১ সেটে হারিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণকন্যা স্লোয়ান স্টিফেন্স। এই হারের পর দুর্দান্তভাবে ফিরে আসার প্রত্যয় জানিয়েছেন ওসাকা। তবে বড় অঘটন ছিল শীর্ষ বাছাই জার্মানির এ্যাঞ্জেলিক কারবারের হার। তাকে হল্যান্ডের তরুণী কিকি বার্টেন্স উদ্বোধনী ম্যাচেই হারের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছেন। এ বছরের সেরা সাফল্য পেয়েছেন ওসাকা ইউএস ওপেন জিতে। প্রথম জাপানী তারকা হিসেবে কোন গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়েন তিনি। সোমবার সিঙ্গাপুরে প্রথমবার ডব্লিউটিএ ফাইনালসে নামার আগ পর্যন্ত ১৬ ম্যাচের মধ্যে ১৪টিতেই জয় ছিল তার। অর্থাৎ ফর্মের তুঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু তৃতীয় বাছাই হিসেবে এখানে খেলতে নেমে একের পর এক বাজে রকমের ভুল-ত্রুটি করেছেন। সবমিলিয়ে ৪৬টি আনফোর্সড এরর ছিল তার এবং ম্যাচের তৃতীয় সেটেই ৩ বার তার প্রতিপক্ষ ব্রেক পয়েন্ট জিতেছে। সবমিলিয়ে ৩ সেটের লড়াইটি দীর্ঘায়িত হয়েছে ২ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তিতে অতিষ্ঠ ছিলেন উভয় খেলোয়াড়ই। তবে জয়ের পর বিষয়টি ভুলেই গেছেন স্টিফেন্স। তিনি বলেন, ‘স্টেডিয়ামের ভেতরে আর্দ্রতা সত্যিই অনেক বেশি। সে কারণে কিছুটা ভিন্নধর্মী পরিবেশ প্রভাব ফেলেছে। কারও বিপক্ষে খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলা সবসময়ই কঠিন কাজ। কিন্তু আমি মনে করি খুব ভাল খেলেছি এবং ভাল মনোভাব বজায় রাখতে পেরেছি।’ অপরদিকে ভুলে ভরা একটি ম্যাচ খেলার পর বেশ বিরক্ত ওসাকা। সেপ্টেম্বরে ইউএস ওপেন জেতার পর থেকে আর ঘরেই ফেরা হয়নি ফ্লোরিডায় আবাস গড়া চীনের তিয়ানজিন প্রদেশের এ টেনিস তারকার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ঘরে ফেরার জন্য খুব মন টানছে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি এখানে থেকেই ভাল কিছু করতে চাইছি। অনেকগুলো আনফোর্সড এরর করেছি যেটা তার মতো খেলোয়াড়ের বিপক্ষে করা অচিন্তনীয়। সুতরাং আমার মনে হয় এটাই এই ম্যাচে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আমি তাদের (ভক্তদের) খুব ভাল একটা ম্যাচ উপহার দিতে চাই দেখার জন্য। সুতরাং আমার জন্য সেটাই মূল গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এবং এখনও এ বিষয়ে আমার মধ্যে কোন বিরক্তি নেই। সুতরাং দেখতে চাই কতদূর যাওয়া সম্ভব।’ দিনের আরেক ম্যাচে কারবারও হতাশ হয়েছেন। ২৬ বছর বয়সী ডাচ তারকা বার্টেন্সের বিপক্ষে এ ম্যাচটিও হয়েছে ম্যারাথন সমান। শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছেন বার্টেন্স ১-৬, ৬-৩, ৬-৪ সেটে। আগেরদিন ক্যারোলিন ওজনিয়াকিকে হারিয়েছিলেন ক্যারোলিনা পিসকোভা এবং পেত্রা কেভিতোভাকে পরাজিত করেন এলিনা সিতোলিনা। ফলে ৮ খেলোয়াড়ের মধ্যে র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকা শেষের চারজনই জয় পেলেন এবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে। বিশ্বের এক নম্বর সিমোনা হ্যালেপ এবারের আসরে পিঠের অব্যাহত ইনজুরির কারণে খেলছেন না। সে জন্যই র‌্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে থাকলেও ৮ নম্বর বাছাই হিসেবে এবারের এই আসরে সুযোগ পেয়েছেন ডাচ তরুণী বার্টেন্স। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন মর্যাদার এই আসরে খেলার সমস্ত যোগ্যতাই আছে তার। কারণ এক নম্বর বাছাই কারবারকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে দু’জনের লড়াইটি ছিল জমজমাট। বিশেষ করে তৃতীয় সেটে টানা ৬টি ব্রেক পয়েন্ট জেতার বিষয়টি দেখা গেছে।
×