ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সীমান্তবর্তী পতিত জমিতে বিদেশী ফল চাষে সাফল্য

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সীমান্তবর্তী পতিত জমিতে বিদেশী ফল চাষে সাফল্য

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী পতিত জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ড্রাগন, বারি মাল্টা, সৌদি খেজুর ও কেরেলা নারিকেল চাষ করা হচ্ছে। কম খরচে লাভ বেশি পাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এর সম্প্রসারণ। এসব বাগানের ফল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন বাজারেও। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা কুন্দলহাট গ্রাম। এখানকার অধিকাংশ জমি ফসল উৎপাদনে অনুপযোগী। ২০১৫ সালে ১০ একর পতিত জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন, ভিয়েতনাম নারিকেল ও মাল্টার চারা রোপণ করেন প্রকৌশলী কামরুজ্জামান। বছর যেতে না যেতেই গাছে ফুল ও ফল আসে। পরে এসব ফল বিক্রি করে লাভবান হন তিনি। পরবর্তীতে এলাকার বেকার যুবকদের নিয়ে গড়ে তোলেন ইজি এগ্রোফার্ম। বাগান মালিক কামরুজ্জামান বলেন, ‘এই এলাকার জমিগুলো অনেক দিন ধরেই পড়ে ছিল। পড়ে ভাবলাম এখানে কোন লাভজনক কিছু করা যায় কি না।’ কামরুজ্জামানের সাফল্য দেখে এলাকার অনেকেই এখন পতিত জমিতে ফলের চাষ করছেন। পরিচর্যা ছাড়া তেমন কোন খরচ না হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন তারা। ফলচাষীরা বলেন, ‘আমরা সবাই সবাইকে সহযোগিতা করি। সবাই লাভের মুখ দেখেছি।’ ফার্মটি পরিদর্শন করে বিভিন্ন সাহায্য ও পরামর্শ দেয়ার কথা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তা। তাদের মতে, কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাগানটি সম্প্রসারণ করা হলে বিদেশেও ফল রফতানি সম্ভব। দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে এটি যদি আরও বিকাশ করা যায় তাহলে বাংলাদেশের ফলের তালিকায় নতুন ফল যুক্ত হবে এবং ফলের চাহিদা মেটাবে।’ দিনাজপুর বিরামপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি কর্মকর্তা নিকসন চন্দ্র পাল বলেন, ‘ড্রাগন ফলটা মিষ্টি সুস্বাদু। এখানকার বাগানে এটি প্রচুর পরিমাণে ধরেছে। এই ফল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে রফতানি সম্ভব। আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করছি।’ বিরামপুর উপজেলার কুন্দলহাট গ্রামের ৫০ একর পতিত জমিতে গড়ে তোলা ইজি এগ্রোফার্মে ড্রাগন, ভিয়েতনাম নারিকেল, বারি মাল্টাসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৮ হাজার ফলের গাছ রয়েছে।
×