ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টুকরো খবর

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ১৩ মে ২০১৮

টুকরো খবর

২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থান নিয়ে জাপান ও ভারতের মধ্যকার প্রতিযোগিতা জোরদার হয়েছিল। জাপানের ইস্পাত উৎপাদন খাতে তুলনামূলক মন্দাভাব, কোবে কেলেঙ্কারির বিপরীতে ভারতের ক্রমবিকাশমান ইস্পাত উৎপাদন খাত এ প্রতিযোগিতায় দিল্লীকে এগিয়ে রেখেছিল। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও (জানুয়ারি-মার্চ) ভারতের ইস্পাত উৎপাদন খাতে চাঙ্গাভাব দেখা গেছে। এ ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ মার্চে এক লাখ টন অধিক ইস্পাত উৎপাদনের মধ্য দিয়ে পণ্যটির উৎপাদনকারী দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় জাপানকে টপকে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছে গেছে ভারত। ওয়ার্ল্ড স্টিল এ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউএসএ) সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। খবর ব্লুমবার্গ ও বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ভারতের কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট প্লান্ট কমিটির (জেপিসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ভারতে সব মিলিয়ে ২ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি। ২০১৭ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে দেশটিতে মোট ২ কোটি ৫৭ লাখ ২৯ হাজার টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ভারতে অতিরিক্ত ৬ লাখ ৩৪ হাজার টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে। সনদ আনলে ছাড়করণে বিশেষ সুবিধা বাজারে বিক্রি হওয়া গুঁড়া দুধে শিশুদের জন্য ভয়াবহ মাত্রায় ক্ষতিকর সিসার অস্তিত্ব পাওয়ার পর পণ্যটির চালান খালাসের আগে ভারি ধাতুর উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য গত ২৫ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিএসটিআই মহাপরিচালক, দেশের সব কাস্টমস কমিশনার ছাড়াও বিভিন্ন দফতরে চিঠি দেয় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন অনুযায়ী, গুঁড়া দুধে সিসার সহনীয় মাত্রা প্রতি কেজিতে দশমিক শূন্য ২ মিলিগ্রাম। ভারি ধাতু উচ্চমাত্রায় শরীরে গেলে তা নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এর ক্ষতি বোঝা যায় না। এগুলোর কারণে লিভার ও কিডনির কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা তৈরি করে। শিশুদের ক্ষেত্রে এর ক্ষতি সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্ম সচিব) মাহবুব কবীর এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের বাজারে গুঁড়া দুধে ক্ষতিকর সিসা পাওয়ার কারণে আমরা পণ্যটির আমদানি ও বাজারজাত পর্যায়ে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। বিষয়টি জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমদানিকারক যে দেশ থেকে গুঁড়া দুধ আনবেন, এখন থেকে সে দেশের নির্ভরযোগ্য একটি পরীক্ষাগার থেকে ক্ষতিকর পর্যায়ে সিসা না থাকার প্রমাণস্বরূপ একটি সনদ নিতে হবে। গুঁড়া দুধের প্রতিটি চালানের সঙ্গে এ সনদ যুক্ত করে দেশের কাস্টম হাউসে দাখিল করতে হবে। এ সনদ আনতে না পারলে কাস্টম হাউসে নমুনা ও অঙ্গীকারনামা প্রদান করে পণ্য খালাস করতে হবে। আর সনদ আনতে পারলে অঙ্গীকারনামা না দিলেও গুঁড়া দুধের নমুনা দিতে হবে। আমরা এগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।
×