ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহে বাস-অটোরিক্সা সংঘর্ষ

পিতাপুত্র ও চালকসহ নিহত ৬

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১২ মে ২০১৮

পিতাপুত্র ও চালকসহ নিহত ৬

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের তারাকান্দা উপজেলার কাকনি নামক স্থানে শুক্রবার বিকেলে সিএনজি অটোরিক্সার সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্র ও চালকসহ ৬ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের সবাই সিএনজি অটোরিক্সার আরোহী ছিল। বেপরোয়া গতির সিএনজি চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, নিহতরা হচ্ছে সিএনজি চালক সোনা মিয়া, আরোহী পিতা আইয়ুব আলী, পুত্র করিম মিয়া, আরোহী নাজিম উদ্দিন ভুইয়া, সালিম ও মাজহারুল। সিএনজি অটোরিক্সাটি পাঁচ আরোহী নিয়ে ময়মনসিংহ থেকে হালুয়াঘাটের নাগলা যাচ্ছিল। আর হালুয়াঘাট থেকে ছেড়ে আসা ইমাম পরিবহন সার্ভিসের বাসটি ময়মনসিংহ আসছিল। তারাকান্দা থানার কাকনি নামকস্থানে বেপরোয়া গতির সিএনজি চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সিএনজি চালকের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। পুলিশ বাসটিকে আটক করলেও পালিয়ে গেছে এর চালক। নেত্রকোনায় পুলিশ কর্মকর্তা ও সোর্স নিজস্ব সংবাদদাতা নেত্রকোনা থেকে জানান, অস্ত্রসহ আসামি গ্রেফতার করে অফিসে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নেত্রকোনা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এক এএসআই ও অপর এক সোর্স নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কের শ্যামগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মানিকদির এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেনঃ এএসআই সৈয়দ মিরাজ হোসেন ও সোর্স রাজু মিয়া। এএসআই মিরাজ হোসেনের বাড়ি গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকার সুরাবাড়ি গ্রামে। তার বাবার নাম সৈয়দ মুসা। অন্যদিকে সোর্স রাজু মিয়ার বাড়ি জেলা সদরের চকপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম লালচান মিয়া। ডিবি পুলিশ জানায়, সোর্স রাজুকে নিয়ে ডিবি পুলিশের এএসআই মিরাজ এবং আরও কয়েক পুলিশ সদস্য বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় তারা দু’টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী তারাকান্দা উপজেলার খিচা গ্রামের রানা মিয়া ওরফে বাবু (২২) এবং গৌরীপুরের বোকাইনগর গ্রামের সাইফুল ইসলামকে (২৫) গ্রেফতার করে। পরে আসামিসহ কয়েক পুলিশ সদস্যকে একটি গাড়িতে করে অফিসে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আর এএসআই মিরাজ ও সোর্স রাজু একটি মোটরসাইকেলে করে নেত্রকোনায় ফিরছিলেন। তারা শ্যামগঞ্জ বাজারের অদূরে মানিকদির এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা (নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহগামী) একটি বালুবোঝাই ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হয়। ঝিনাইদহে যাত্রী নিজস্ব সংবাদদাতা ঝিনাইদহ থেকে জানান, কোটচাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় রেজাউল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে কোটচাঁদপুর-কালীগঞ্জ সড়কের নওদাগ্রাম-কাশীপুর নামকস্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কোটচাঁদপুর থানার ওসি বিপ্লব কুমার জানান, কালীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা জীবননগরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস সড়কের নওদাগ্রাম-কাশীপুর নামকস্থানে পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সে সময় বাসটি পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে উল্টে যায়। এতে বাসযাত্রী রেজাউল ইসলাম মারা যায়। আহত হয় অন্তত আরও ২০ জন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সিলেটে আইনজীবী স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস থেকে জানান, ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। পবিত্র রমজান উপলক্ষে এলাকার গরিব লোকজনের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ফেঞ্চুগঞ্জের ভেলকুনা গ্রামের এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান কর্মস্থল ঢাকা থেকে বাড়ি আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। এ্যাড. হাবিবুর রহমানকে নিয়ে আসার জন্য বাড়ি থেকে প্রাইভেটকার নিয়ে ঢাকা গিয়েছিলেন তার চাচাতো ভাই তাজউদ্দীন। ঢাকা থেকে ব্রুনাই প্রবাসী আরেক চাচাতো ভাইসহ তারা ফেঞ্চুগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে সোয়াব আলী বাজার আসার পর গাড়ির চালক ঘুমিয়ে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত তাজউদ্দীনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
×