ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুত বিপর্যয় ॥ জামালপুর হাসপাতাল তিন ঘণ্টা অন্ধকারে

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

বিদ্যুত বিপর্যয় ॥ জামালপুর হাসপাতাল তিন ঘণ্টা অন্ধকারে

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ২৯ এপ্রিল ॥ ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের ২৫০ কেভি ক্ষমতার জেনারেটরটি ফের বিকল হওয়ায় শনিবার রাতে পিডিবির বিদ্যুত বিপর্যয়ের সময় প্রায় তিন ঘণ্টা গোটা হাসপাতাল অন্ধকারে ডুবে ছিল। এতে করে হাসপাতালের জরুরী বিভাগসহ ১০টি ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী, রোগীর স্বজন ও হাসাপাতালের নার্সদের মধ্যে নানা উৎকণ্ঠা ও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ব্যাহত হয় চিকিৎসাসেবা। রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবগুলো ওয়ার্ডে মোমবাতি বা বিকল্প কোন আলোর ব্যবস্থা না করায় চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়াসহ রোগী ও স্বজনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত বছরের ১৬ নবেম্বর রাতেও পিডিবির বিদ্যুত বিপর্যয়ের সময় টানা প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় গোটা হাসপাতাল অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। ওইদিনও জনারেটর বিকল থাকায় গোটা হাসপাতালে ভুতুড়ে পরিস্থিতির সৃষ্টিসহ চিকিৎসা কার্যক্রম চরম ব্যাহত হয়েছিল। জানা গেছে, পিডিবির বিদ্যুত বিপর্যয় দেখা দেয়ায় শনিবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে রাত ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত গোটা হাসপাতাল অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। এ সময় হাসপাতালের ২৫০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটরটিও ছিল বিকল। ২০০০ সালে প্রায় ২৫ লাখ ২৪ হাজার ৬০০ টাকা ব্যয়ে ওই জেনারেটরটি স্থাপন করা হয়। পিডিবির বিকল্প ওই জেনারেটরটিও চালু করতে না পারায় অন্ধকারের কবলে পড়ে রোগী ও তাদের স্বজনদের চরম দুর্ভোগ ও বিপাকে পড়তে হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগসহ ১০টি ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা চরমভাবে ব্যাহত হয়। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন ওয়ার্ডেই মোমবাতি বা অন্যকোন বিকল্প আলোর ব্যবস্থা করে দেয়নি। ফলে নার্স, অন্যান্য কর্মচারী ও রোগীর লোকজনের মোবাইল ফোনের আলোয় প্রাথমিক কিছু চিকিৎসাসেবা দিতে পারলেও বিদ্যুতের অভাবে রোগীদের অক্সিজেন, ইনজেকশন ও স্যালাইন দিতে পারেনি। রাত ১২টা ২০ মিনিটে পিডিবির বিদ্যুত সরবরাহ সচল হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা সময় ধরে কার্যত: জরুরী চিকিৎসেবা ও ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধই ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে অন্ধকারের কবলে পড়ে অনেক রোগী তাদের হাতে স্যালাইন ব্যাগসহ হাসপাতাল ত্যাগ করতে দেখা গেছে। হাসপাতালে দালাল ও এক শ্রেণীর মাদকাসক্ত যুবকদের আনাগোনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও হুমকির মুখে পড়ে। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ মোঃ শফিকুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, বিদ্যুত এবং বিদ্যুতের আলো ছাড়া আমাদের অনেক সমস্যা হয়। সব ধরনের রোগীর জরুরী চিকিৎসা ব্যাহত হয়। বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডে অন্ধকারের মধ্যে খুব সমস্যা হয়। দীর্ঘ সময় বিদ্যুত না থাকলে ইনউকিবেটরে রাখা একদিনের নবজাতকদের জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অন্ধকারের মধ্যে নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীরা জরুরী সেবা দিতে পারে না। অক্সিজেন দেয়া, ইনজেকশন পুশ করা যায় না। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। জেনারেটরটা সব সময় সচল থাকা খুবই জরুরী।’
×