ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আসছে বাজেটে বিড়ি জর্দা গুলের ওপর কর বসছে

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

আসছে বাজেটে বিড়ি জর্দা গুলের ওপর কর বসছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রাক বাজেট আলোচনায় সিগারেটের ওপর থেকে সারচার্জ রয়েছে তা প্রত্যাহার ও সিগারেটের স্ল্যাব পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে উচ্চস্তরে সিগারেটের ট্যাক্স না বাড়িয়ে নিম্নস্তরে তা বৃদ্ধির কথাও জানান এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। সোমবার বিকেলে এনবিআর ভবন মিলনায়তনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন এসব কথা বলেন। বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন, দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড এ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি ও অংশ নেয়। এ সময় আসছে বাজেটে বিড়ি, জর্দা ও গুলের ওপর কর বাড়ানো হবে বলে জানান। একই সঙ্গে বিদেশী টিভি চ্যানেলগুলোকে, ক্যাবল অপারেটরদের করের আওতায় আনা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর চেয়ারম্যান গোলাম মাইনউদ্দিন বলেন, আমরা নিজেদের চিন্তার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বিষয়েও চিন্তা করি। মধ্যম মানের সিগারেটের মার্কেট শেয়ার ২০ শতাংশে নেমে গেছে। উচ্চমানের সিগারেটের মার্কেট শেয়ার ৯ শতাংশ। তিনি বলেন, শুল্ক ছাড়া চোরাইভাবে সিগারেট আসার প্রবণতা রয়েছে। ৬ মাস আগে যেমন ছিল এটা যাতে কোনভাবেই তারচেয়ে না বাড়ে। তিনি আরও বলেন, সিগারেটে সবচেয়ে উচ্চ কর, এর পরেও যদি সারচার্জ বসে, তা আমাদের ওপর বার্ডেন (চাপ) হয়। বর্তমানে আড়াই শতাংশ সারচার্জসহ সাড়ে ৪৭ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি। বিএটিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনির বলেন, তামাকের বাজার এখন হাই গ্রেড থেকে লো গ্রেডে চলে গেছে। অথচ উচ্চ গ্রেডেই কর বেশি। তাই সংগঠনটির পক্ষে উচ্চ গ্রেডে কর কমানো ও নিম্ন গ্রেডে কর বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। সংগঠনের পক্ষে আরও বলা হয়, কালোবাজারি যেন না ঢোকে। সেই সঙ্গে বিদেশী সিগারেট যেন না আসে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বলা হয়। এদিকে, ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের এনসিটিবির পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের কার্যাদেশ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বল্প শুল্কে কাগজ আমদানির সুযোগ চেয়েছে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি।
×