ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গলাচিপায় ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ৫ এপ্রিল ২০১৮

গলাচিপায় ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য  গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপা থানায় পৃথক দুটি ধর্ষণের মামলা রেকর্ড হয়েছে। এরমধ্যে একজন গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলায় পুলিশ পানপট্টি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল ইসলামকে (৩২) গ্রেফতার করেছে। মামলা দুটির অপর আসামিদেরও গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। পুলিশ ধর্ষিতদের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের তুলারাম গ্রামের ২৮ বছরের ওই গৃহবধূকে তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। গৃহবধূ এর প্রতিকার চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রফিকুল ইসলামের কাছে নালিশ করেন। মেম্বার প্রতিকারের আশ্বাস দিয়ে ওই গ্রহবধূর বাড়ি যাতায়াত শুরু করে এবং বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দেয়। গৃহবধূ কুপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ঘটনার দিন গত ১৩ মার্চ রাতে ওই গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে যান। আগে থেকে সেখানে মেম্বার রফিকুল ইসলাম সঙ্গী স্থানীয় ধলু গাজীর ছেলে মোঃ আক্কাছকে (৩০) নিয়ে ওঁৎ পেতেছিল। গৃহবধূকে একা পেয়ে রফিক ও আক্কাছ জোর করে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে তুলে নিয়ে যায় এবং গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে। গৃহবধূকে কামড়ে আছড়ে ধর্ষকরা রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে গৃহবধূর ডাকচিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিত ওই গৃহবধূ চিকিৎসা শেষে স্থানীয় থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেয়। অবশেষে ওই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে গত ২০ মার্চ পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দু’জনকে আসামি করে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক ওইদিনই গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ ও তদন্তসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইব্রাহিম মোল্লা জানান, আদালতের আদেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামি মেম্বার রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে এবং অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা। অপর ধর্ষণের মামলাটিও পুলিশ একই সময়ে রেকর্ড করেছে। এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, চরকাজল ইউনিয়নের চরবড়শিবা গ্রামের ২০ বছরের তরুণীর সঙ্গে চরবিশ্বাস কে আলী কলেজে এইচএসসি পড়ার সময়ে চরবিশ্বাস গ্রামের বাবুল মৃধার ছেলে সহপাঠী মাসুম মৃধার (২১) পরিচয় থেকে ঘনিষ্টতা হয়। মাসুম মৃধা বিভিন্ন সময়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সহপাঠী ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এক সময়ে মাসুম মৃধা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
×