নিজস্ব সংবাদদাতা,পটিয়া ॥ ঝুঁকিপূর্ণ একটি ভবনে চট্টগ্রামের পটিয়ায় চিকিৎসা সেবা চলছে। ফলে যে কোন মুহুর্তে উপজেলার হাইদগাঁও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দুর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। সোমবার সকালে হঠাৎ ভবনের ছাদের কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়লে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ভয়ে পালিয়ে যায়। ভবন ঝুঁকির কারণে সেখানকার ডাক্তারও আতংকে রয়েছেন। ২০১৭ সালের ৯ এপ্রিল স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ সহকারী মেডিকেল অফিসার ইয়াসমিন আকতার পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক বরাবরে একটি আবেদনও করেছেন। পাশাপাশি পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীকে অবগত করেন। দীর্ঘদিন ধরে হাইদগাঁও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সংস্কার কিংবা নতুন ভবন না হওয়ায় এই নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পটিয়া উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী উপজেলায় ১৭টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভবন। এই ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ৪০ হাজার লোকজন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কচুয়াই ও কেলিশহর এলাকা থেকে রোগীরা প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন। এখানে বিনামূল্যে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা, পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র পুন: নির্মানের আবেদন করার পর পটিয়া উপজেলার মেডিকেল অফিসার ডাঃ সৌমেন মিত্র পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক বরাবরে একটি সুপারিশ করেন। এর প্রেক্ষিতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
হাইদগাঁও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইয়াছমিন আক্তার জানিয়েছেন, খুব ঝুঁকির মধ্যে তারা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। প্রতিদিন ভবনের ছাদের অংশ খসে পড়ছে। ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি সংস্কারের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। এই বরাদ্দে ঝুঁকি কমবে না। তাছাড়া ভবনের দরজা,জানালা নষ্ট থাকার কারণে প্রতি বর্ষা মওসুমে বিষাক্ত সাপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে। রোগীদের নিরাপত্তার স্বাস্থ্য এখানে নতুন ভবন অবশ্যই দরকার।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: