ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এখনই ইংল্যান্ডে চোখ লেহম্যানের

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

এখনই ইংল্যান্ডে চোখ লেহম্যানের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টানা তিন জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ঐতিহ্যের এ্যাশেজ ট্রফি পুনরুদ্ধার করেছে অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ জানিয়েছেন, ব্যবধানাটা শেষ পর্যন্ত ৫-০ করতে পারলে সেটি হবে দারুণ কিছু। ২০১৩-২০১৪ মৌসুমে যেভাবে ঘরের মাটিতে ইংলিশদের ‘হোয়াইটওয়াশের’ লজ্জায় ডুবিয়েছিলেন মাইকেল ক্লার্ক-মিচেল জনসনরা। তবে কোচ ড্যারেন লেহম্যানের দৃষ্টি আরও সামনে। ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে ইংলিশদের বিপক্ষে এ্যাশেজ জয়ের মতো গর্বের আর কিছু হতে পারে না বলে মনে করেন সাবেক অসি ব্যাটসম্যান। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডে গিয়ে ৩-২এ সিরিজ হারের পর গোটা অস্ট্রেলিয়া কেঁপে উঠেছিল। ক্লার্কসহ অবসর নিয়েছিলেন চার-পাঁচজন তারকা ক্রিকেটার। এবার ট্রফি পুনরুদ্ধারের পর তাই আগামীবার ইংল্যান্ডে (২০১৯) গিয়ে প্রতিশোধ নেয়ার ছক কষতে শুরু করে দিয়েছেন নেপথ্যের সফল কারিগর লেহম্যান। অস্ট্রেলিয়া কোচ বলেন, ‘টানা তিন জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখে এ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের কৃতিত্ব ছেলেদের। ওরা সত্যি ভাল ক্রিকেট খেলছে। তবে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। বাকি দুটি ম্যাচেও আমাদের স্পিরিট ধরে রাখতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হবে ইংল্যান্ডের মাটিতে এ্যাশেজ জয়। আমি নিশ্চিত এই গ্রুপটি সমন্বিতভাবে সেটা করতে পারবে। তারা বয়সে যথেষ্ট তরুণ, এখনও বেশ কয়েক বছর একত্রে খেলতে পারবে এবং গত এক বছর আগে আমাদের জন্য এটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবশ্য এ সময়ে বেশ কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড়কে আমরা পরিবর্তন করেছি। সেটা দলের প্রয়োজনে। সেরা কম্বিনেশন তৈরির জন্য। মাঠে এখন তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।’ স্মিথের মতো এবার সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের স্বপ্নে বিভোর লেহম্যানও, ‘তারা (ইংল্যান্ড) কিছু ভাল তরুণ খেলোয়াড় পেয়েছে। আমরা সঠিক সময়ে তাদের চাপে রাখতে পেরেছি এবং আশা করছি আগামী দুই ম্যাচেও সেটা অব্যাহত রাখতে পারব। তবে এ সকল খেলোয়াড়ের মধ্যে কেউ কেউ আগামী এ্যাশেজে (ইংল্যান্ডের মাটিতে) খেলবে। সুতরাং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পরিকল্পনার উন্নতি ঘটাতে হবে এবং আরও ভাল হতে হবে।’ তবে দুই বছর বাকি থাকলেও অস্ট্রেলিয়া এখনই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে চায় ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী এ্যাশেজ সিরিজ নিয়ে। যা অসিদের জন্য মোটেই সহজ নয়। কেননা তারা ইংল্যান্ডের মাটিতে সেই ২০০১ সালের পর আর এ্যাশেজ সিরিজ জিততে পারেনি। নিজ মাঠে আরেকটি এ্যাশেজ শিরোপা জিতলেও ইংল্যান্ডে গিয়ে সাফল্য কঠিন বলেই মনে করেন তিনি। তবে সফল এ কোচের বিশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার মেধাবী তারুণ্যনির্ভর দলটি আরও ভাল অবস্থানে থাকবে। ইতোমধ্যেই সিরিজের ফয়সালা হয়ে যাওয়ায় মেলবোর্নে ২৬ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া ‘বক্সিং ডে টেস্ট (চতুর্থ)’ নিয়ে বাড়তি চাপ নেই অস্ট্রেলিয়ার। নির্ভার হয়ে নিজেদের সাবলীল খেলা উপহার দিতে পারবেন স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নাররা-মিচেল স্টার্করা। লেহম্যান কিছুটা এক্সাইটেড, ‘আমরা কিছু ব্র্যান্ড ক্রিকেট খেলব। তবে অবশ্যই আমাদের চাপ কম থাকবে। এমন অবস্থায় ছেলেরা কেমন খেলে সেটা দেখাটা হবে মজার বিষয়।’
×