ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁ জেলার নির্মইল গ্রামের মানুষের তৃষ্ণা মেটে কুয়োর জলে

প্রকাশিত: ২৩:৫১, ৩১ অক্টোবর ২০১৭

নওগাঁ জেলার নির্মইল গ্রামের মানুষের তৃষ্ণা মেটে কুয়োর জলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ ‘হাজারো তৃষ্ণায় ছটফট করলেও নলকুপের একফোঁটা বিশুদ্ধ পানি পাবার জো নেই। গোসল করতে গেলেও পুকুরের কর্দমাক্ত ঘোলা জলই একমাত্র ভরসা। খেতে হবে একমাত্র কুয়োর (এঁদেরার) পানি। উন্মুক্ত কুয়োগুলোর গভীরতা প্রায় শতফুটেরও ওপর। বালতির কানায় দড়ি বেঁধে ওই গভীর কুয়ো থেকে খাবার পানি তুলতে হয়। শহর এলাকায় যেমন বাড়ি বাড়ি টিউবওয়েল, পাম্প বা সাপ্লাইয়ের পানির ব্যবস্থা থাকে এমনটি নেই সেখানে। কয়েকটি পাড়া মিলে কোন বিত্তবানের বাড়ির উঠোনে একটি করে কুয়ো বসানো রয়েছে। সেই কুয়ো থেকেই কয়েকপাড়ার নারীরা কলসি ভরে খাবার পানি সংগ্রহ করে থাকেন। ভাল রাস্তা-ঘাট না থাকায় মাঠ ভেঙ্গে, জমির আইল ভেঙ্গে, বর্ষায় কাদা-পানি ও খরার সময় ধুলা-বালি উপেক্ষা করে তাদের অন্তত ১ থেকে দেড় কিঃমিঃ দূর থেকে সংগ্রহ করতে হয় খাবার পানি। আধুনিক সভ্যতার এ যুগে এসেও এমন চিত্র চোখে পড়ে উত্তরের নওগাঁ জেলার পতœীতলা উপজেলার সীমান্তবর্তী নির্মইল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে। সাড়া দেশে বর্তমান উন্নয়নশীল সরকারের উন্নয়নের জোয়ার বয়ে চললেও নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম নির্মইল এখনো বড়ই অবহেলীত। নেই কোন রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, নেই বিদ্যুৎ, নেই শিক্ষা ব্যবস্থা, নেই আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা, এমন কি সুস্থ জীবন যাপনের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থাও নেই এখানে। দেশব্যাপী উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেলেও উন্নয়নের এতোটুকু ছোঁয়া লাগেনি এই নির্মইল গ্রামে। সরেজমিনে দেখা গেছে, পত্নীতলা উপজেলার সীমান্তবর্তী নির্মইল ইউনিয়নের হিন্দু ও আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম নির্মইল, নাথুরহাট থেকে গাঞ্জাকুড়ি, পাড়শাঁওলী থেকে জামালপুর হিন্দুপাড়া পর্যন্ত রাস্তাঘাটের অবস্থা অত্যন্ত করুন। এখনো তার টানা বা সংযোগ দেয়া হয়নি। কবে দেয়া হবে এমনটিও বলতে পারেননা সেখানকার বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরা জানান, স্বাধীনতার পর এই নির্মইল গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কেউ এগিয়ে আসেনি।
×