ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

এবার স্বামীর মর্যাদা চেয়ে স্কুলছাত্রীর বাড়িতে প্রেমিকের অনশন

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

এবার স্বামীর মর্যাদা চেয়ে স্কুলছাত্রীর বাড়িতে প্রেমিকের অনশন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২৭ অক্টোবর ॥ এতদিন স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশনের অনেক ঘটনা শোনা গেলেও এবার ঘটেছে তার উল্টোটা। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে স্ত্রী দাবি করে তার বাড়িতে অনশন শুরু করেছে রুবেল নামে যুবক। একই উপেজলার ভানোর ইউনিয়নের কাচকালি এলাকার আসিরউদ্দিনের (কালুর) ছেলে রুবেল শুক্রবার সকাল থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে স্ত্রী দাবি করে তার বাড়ির সামনে বসে অনশন শুরু করলে এলাকায় হৈ চৈ পড়ে যায় এবং তাকে দেখার জন্য ভিড় বাড়তে থাকে। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের আলোকছিপি গ্রামের ওহাব আলীর ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে একই উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের কাচকালি এলাকার আসিরউদ্দিনের (কালুর) ছেলে অনার্স পড়ুয়া রুবেলের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্প্রতি ওই ছাত্রী রুবেলকে বিয়ে করতে চাইলে তার বাবা ওহাব আলী বিয়ের বয়স হয়নি বলে মেয়েকে শাসন করেন। তার কয়েকদিন পর অভিমান করে ওই স্কুলছাত্রী বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তখন পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর ওই স্কুলছাত্রী রুবেলের সঙ্গে ফের যোগাযোগ অব্যাহত রাখে। শুক্রবার সকালে রুবেল ওই স্কুলছাত্রীকে স্ত্রী দাবি করে ওহাব আলীর বাড়িতে অনশন শুরু করে। তবে ওহাব আলী রুবেলের কাছে বিয়ের প্রমাণ চাইলে রুবেল বিয়ের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। অনশনরত যুবক রুবেল জানায়, কিছুদিন আগে কোর্টে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেছে। তাই নিজ স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হয়েছে। কিন্তু আমার স্ত্রীর বাবা আমাদের বিয়ে হয়েছে তা মানতে চাচ্ছেন না। আমি আদালতের কাগজপত্র আনার ব্যবস্থা করছি। আমার স্ত্রীকে না দেয়া পর্যন্ত এই অনশন অব্যাহত থাকবে। এদিকে মেয়ের বাবা ওহাব আলী বলেন, আমার মেয়ে মাত্র অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। এখনও সে নাবালিকা, বিয়ের বয়স হয়নি। রুবেল নামে ছেলেটি আমার মেয়েকে স্ত্রী দাবি করছে কিন্তু কোন প্রমাণ দেখাতে পারছে না। রুবেলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে, তারা হাজীর হলে বিষয়টি সুরাহা করা হবে। তিনি আরও বলেন, নোটারী পাবলিক তার নাবালিকা মেয়েকে কিভাবে বিয়ে দিয়েছে সেটা তিনি ভেবে পাচ্ছেন না। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, অনশনের বিষয়টি জেনেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কারও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া মেয়েটি যেহেতু নাবালিকা সেখানে আদালতের মাধ্যমে বিয়ের বিষয়টি সন্দেহজনক।
×