ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

শেরপুরে হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ২৪ অক্টোবর ॥ শেরপুরে চাঞ্চল্যকর নাজিরুল ইসলাম লাজু হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদ- অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদ- দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন ওই রায় ঘোষণা করেন। দ-িতরা হচ্ছেনÑ শ্রীবরদী উপজেলার বাহিনখিলা গ্রামের মোস্তফা, ইজারাপাড়া গ্রামের জহুর আলী ও আব্বেস। তবে দ-িতরা সবাই পলাতক রয়েছে। একইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত মামলায় হাজির থাকা অপর ৩ আসামি নিতু চন্দ্র বর্মণ, মোহাম্মদ আলী ও আমিরুল ইসলাম টুক্কুকে বেকসুর খালাস দেন। আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু জানান, ২০১১ সালের ১১ মে শ্রীবরদী উপজেলার দহেরপাড় গ্রামের যুবক নাজিরুল ইসলাম লাজু প্রতিদিনের মতো ইজিবাইক নিয়ে বের হলেও সেদিন রাতে আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন দুপুরে স্থানীয় একটি ব্রিজের পাশের ডোবায় রক্তাক্ত জখম অবস্থায় লাজুর লাশ পাওয়া যায়। পটুয়াখালীতে দুই আসামি নিজস্ব সংবাদদাতা পটুয়াখালী থেকে জানান, পটুয়াখালী শহরের মৎস্য ব্যবসায়ী বিমল দাস খুনের ঘটনায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে পটুয়াখালী বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচার বাসুদেব রায় এ দন্ড প্রদান করেন। এছাড়াও দুই আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের দন্ড- দেয়া হয়েছে। দন্ড-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার পারকার্তিক পাশা গ্রামের মৃত আনোয়ারের ছেলে মিজানুর রহমান (২৫) ও গোলবুনিয়া গ্রামের ইউনুচ হাওলাদারের পুত্র কামাল হোসেন মিয়া। জানা গেছে, মোটরসাইকেল ভাড়ার টাকা আদায় নিয়ে বিমল দাসের সঙ্গে বাগ্বিত-া হয় দুই আসামির। এর জের ধরে ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে বিমল দাসকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে নৌ ভ্রমণে নিয়ে যায় আসামিরা। শহরসংলগ্ন লাউকাঠি নদীর উপরে ব্রিজ অতিক্রম করলে আসামিরা বিমলকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়।
×