ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইউরোপিয়ান ফুটবলে মেসির গোলের সেঞ্চুরি

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২০ অক্টোবর ২০১৭

ইউরোপিয়ান ফুটবলে মেসির গোলের সেঞ্চুরি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মধুর সময় অতিবাহিত করছেন লিওনেল মেসি। তারকা এই ফুটবলার জাতীয় দল আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠ মাতানোর পর এখন ক্লাব বার্সিলোনার হয়েও আলো ছড়াচ্ছেন। বুধবার রাতে যেমন ইউরোপিয়ান ফুটবলে ‘১০০’ গোলের অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই ক্ষুদে জাদুকর। রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগীজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপিয়ান ফুটবলে গোলের সেঞ্চুরি করেছেন বার্সা ডায়মন্ড। ন্যুক্যাম্পে অলিম্পিয়াকোসের বিরুদ্ধে ম্যাচের ৬২ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে দর্শনীয় গোল করেন মেসি। এতে করে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় গোলের সেঞ্চুরি পূর্ণ হয় আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের। ২০০৪ সালে ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের অধীনে বার্সিলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে (ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায়) প্রথম গোল করেন মেসি। এখন পর্যন্ত ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ৩৭টি ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গোল করেছেন এলএম টেন। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলা সাতটি দলের বিরুদ্ধে কোন গোল করতে পারেননি মেসি। এই সাত প্রতিপক্ষের একটি এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। এ্যাটলেটিকোর বিরুদ্ধে ঘরোয়া ফুটবলে ২৭ গোল করলেও ইউরোপিয়ান আসরে চার ম্যাচ খেলেও একবারও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ১০০ গোলের মধ্যে মেসি ৯৭টি করেন চ্যাম্পিয়ন্স লীগে। বাকি তিনটি উয়েফা সুপার কাপে। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় রোনাল্ডোর গোলসংখ্যা ১১৩টি। এরমধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লীগেই ১১০টি। অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স লীগে মেসির চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন রোনাল্ডো। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার খেলেছেন ১১৮ ম্যাচ। অন্যদিকে পর্তুগীজ সুপারস্টার বাছাইপর্ব বাদে খেলেছেন ১৪৩ ম্যাচ। আর তাই উয়েফা প্রতিযোগিতায় মেসির ১০০তম গোল হচ্ছে দ্রুততম সময়ে। এমন অর্জনের পর বার্সিলোনা কোচ আর্নেস্টো ভালভার্ডে খুশিতে গদগদ। তিনি বলেন, আমি চাই এই মৌসুমে ২০০ গোল করুক মেসি। আমরা প্রতি অনুশীলনে যা দেখি, মেসি সংখ্যায় সেটিই প্রকাশ করে চলেছে। ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্টোমেউও প্রশংসা করেছেন মেসির। তিনি বলেন, আমি তো তাকে ফুটবলের সকল পুরস্কারই দিতে চাই। কেউই তার মানের নয়। সে একটি নতুন যুগের সৃষ্টি করেছে। আর এখনও সেই পর্যায়েই নৈপুণ্য দেখিয়ে যাচ্ছে। এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে দারুণ এক রেকর্ড গড়েছেন এডিনসন কাভানি। মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপের কুলিন আসরে টানা সাত ম্যাচে গোল করার কীর্তি গড়েছেন পিএসজির এই উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড। এর আগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও রুড ফন নিস্টলরয়ের আছে এই কীর্তি। পরশু রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপপর্বের ম্যাচে আন্ডারলেচটের বিরুদ্ধে গোল করে রোনাল্ডো ও নিস্টলরয়ের সঙ্গে এলিট ক্লাবে জায়গা করে নেন কাভানি। অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স লীগে টানা ম্যাচে গোল করার রেকর্ড থেকে এখনও অনেক দূরে কাভানি। রোনাল্ডো ২০১৩-১৪ মৌসুমে টানা আট ম্যাচে এবং নিস্টলরয় ২০০২-০৩ মৌসুমে টানা নয় ম্যাচে গোল করেছেন। টানা ম্যাচে গোলের রেকর্ড স্পর্শ করতে হলে আগামী দুই ম্যাচেই গোল করতে হবে কাভানিকে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের চলতি আসরে এই নিয়ে তিন ম্যাচে চার গোল করলেন কাভানি। আন্ডারলেচট ম্যাচের আগে সেল্টিকের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেন। আর বেয়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে করেন এক গোল। গত মৌসুমে শেষ ষোলোর দুই লেগেই বার্সিলোনার বিরুদ্ধে একটি করে গোল করেন কাভানি। এছাড়া লোগোডোরেস এবং আর্সেনালের বিরুদ্ধেও একবার করে জাল খুঁজে পান উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড। গত মৌসুমের শেষ চার ম্যাচেই গোল করার পর চলতি মৌসুমে টানা তিন ম্যাচে গোল পেলেন কাভানি। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে দারুণ এক রেকর্ড গড়েছেন পিএসজির টিনএজার কিলিয়ান এমবাপে। ইউরোপিয়ান কুলিন আসের টিনএজার খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড এখন ফরাসী এই ফরোয়ার্ডের। পরশু রাতেও গোল করেন তিনি। এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ২০ বছরের কম বয়সী খেলোয়াড়দের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। এর আগে কোন টিনএজার চ্যাম্পিয়ন্স লীগে আট গোল করতে পারেননি।
×