ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম দিন শেষে ১ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২৯৮

পোচেফস্ট্রুমে অসহায় বাংলাদেশের বোলাররা

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

পোচেফস্ট্রুমে অসহায় বাংলাদেশের বোলাররা

মোঃ মামুন রশীদ ॥ বোলাররা কোন প্রভাব খাটাতে পারলেন না। উইকেটও আসেনি তাই কোন বাংলাদেশী বোলারের ঝুলিতে। টস জিতেও স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর খেসারত হিসেবে বৃহস্পতিবার প্রথমদিনের পুরোটা সময় বাংলাদেশী বোলাররা অগ্নিপরীক্ষার মধ্যে ছিলেন। দারুণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা পোচেফস্ট্রুমের সেনওয়েস পার্কে শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথমদিন শেষে তুলেছে ১ উইকেটে ২৯৮ রান। একমাত্র আউটটি অভিষেক হওয়া ওপেনার এইডেন মার্করামের দুর্ভাগ্যজনক রান আউট। অল্পের জন্য শতক বঞ্চিত হয়ে তিনি ৯৭ রানে সাজঘরে ফেরেন। নিষ্প্রাণ উইকেটের ব্যাটিং স্বর্গে টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম ব্যাটিং নেয়ার খেসারত দিয়েছেন বেশ ভালভাবেই। এর সঙ্গে চিরাচরিত সেই ফিল্ডিং দুর্দশা আরও সুযোগ করে দিয়েছে প্রথমদিনেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে সফরকারীদের চাপে ফেলার জন্য। প্রস্তুতি ম্যাচে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার ইনজুরিতে পড়েছিলেন। তামিম অবশ্য সুস্থ হয়ে ম্যাচের একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন, তবে কাঁধে আঘাত পাওয়া সৌম্য পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় একাদশের বাইরে চলে গেছেন। একাদশে তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাসসহ তিন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। টসভাগ্য মুশফিকের পক্ষে আসলেও দারুণ ব্যাটিং ট্র্যাকে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তই নেন তিনি। তবে মুশফিকের সিদ্ধান্তটা আত্মঘাতী হয়েছে সেটা বল মাঠে গড়ানোর পর বেশ ভালভাবেই বোঝা গেছে। তিনি অবশ্য টস জেতার পর নেয়া সিদ্ধান্তের পক্ষে বলেছেন, ‘ব্যাটিং উইকেট হলেও পেসারদের জন্য কোন সুবিধা থাকলে সেটা প্রথম সেশনেই থাকবে।’ কিন্তু মুস্তাফিজ, শফিউলরা কোন দাগ কাটতে পারেননি ডিন এলগার ও মার্করামের দৃঢ়তায়। তারা বেশ সাবলীল ভঙ্গিতেই খেলে যান। প্রথম উইকেটেই গড়ে ওঠে ১৯৬ রানের বিশাল জুটি। অভিষেক হওয়া ২৩ ছুঁতে চলা তরুণ মার্করাম দুর্দান্ত অর্ধশতক হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির একেবারে নিকটে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ভুলটা দু’জনেই করলেন প্রথমবারের মতো আর সেটার খেসারত দিলেন নন-স্ট্রাইকিং এন্ডে থাকা মার্করাম। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে মুমিনুল হকের দেয়া থ্রো থেকে এ তরুণকে রানআউট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মার্করাম ১৫২ বলে ১৩ চারে ৯৭ রান করে ফিরলে প্রথম স্বস্তি আসে বাংলাদেশ শিবিরে। অফস্পিনার মিরাজের ওপরই ভরসা রাখতে হয়েছে বাংলাদেশের বোলিং বিভাগকে। কারণ তিনিই শুধু প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের কিছুটা আটকে রাখতে পেরেছেন। তবে সারাদিন ঘাম ঝরানো পরিশ্রম করে ৩৬ ওভার বোলিং করা এ তরুণ কোন উইকেট শিকার করতে পারেননি। এলগার ছিলেন দারুণ ধীরস্থির। আর সুস্থির মস্তিষ্কে তাকে দারুণ সঙ্গ দিতে থাকেন হাশিম আমলা। এলগার ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি হাঁকান। তিনি অপরাজিত আছেন ২৮৫ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১২৮ রানে। আমলাও করেছেন নির্বিঘœ অর্ধশতক। তিনি অপরাজিত ১০৩ বলে ৭ চার ১ ছক্কায় ৬৮ রানে। দ্বিতীয় উইকেটে এলগারের সঙ্গে তিনি ১০২ রানের জুটি গড়েছেন ইতোমধ্যে। ১ উইকেটে ২৯৮ রান তুলে বিশাল সংগ্রহের পথেই রয়েছে প্রোটিয়ারা। স্কোর ॥ দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস- ২৯৮/১; ৯০ ওভার (এলগার ১২৮*, মার্করাম ৯৭, আমলা ৬৮)।
×