ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরী প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ টেনিসকন্যা প্রীতি

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ২৭ আগস্ট ২০১৭

সুন্দরী প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ টেনিসকন্যা প্রীতি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘জানেন, আমি দ্বিতীয় হয়েছি এনটিভির মমতাজ সুন্দরীতমা প্রতিযোগিতায়!’ গত ১২ আগস্ট দৈনিক জনকণ্ঠের খেলার পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘টেনিস খেলোয়াড় প্রীতি যখন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ...’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন। এরপর থেকেই ক্রীড়াপ্রেমীদের উৎসুক নজর ছিল টেনিসকন্যা আফরানা ইসলাম প্রীতির দিকে। অনেকেই জানতে চাইতেন প্রীতির শেষ পর্যন্ত কি হলো। জবাব হচ্ছেÑ ওই প্রতিযোগিতায় ১৯ প্রতিযোগী থেকে সেরা ১০ জনকে বেছে নেয়ার সময় সপ্তদর্শী প্রীতি অনলাইনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে প্রথম হন এবং চূড়ান্তপর্বে উন্নীত হন। শুক্রবার অনুষ্ঠিত চূড়ান্তপর্বে প্রীতি হন প্রথম রানারআপ। চ্যাম্পিয়ন হন সানজিদা ইসলাম আর দ্বিতীয় রানারআপ হন নুসরাত জাহান মিথিলা। প্রথম গ্র্যান্ড বিজয়ী ১ লাখ টাকা, প্রথম রানা?রআপ ৫০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানারআপ পান ২৫ হাজার টাকা। এর সঙ্গে থাকছে মমতাজ হারবালের স্পন্সর করা টেলিফিল্ম ও বিজ্ঞাপনে এক বছর কাজ করার সুযোগ। বাকিদের জন্যও রয়েছে আকর্ষণীয় গিফট হ্যাম্পার। এছাড়া ফাইনালে অংশ নেয়া ১০ জনের জন্য স্বীকৃতির সনদ তো ছিলই। জনকণ্ঠকে প্রীতি জানান, ‘তবে ফাইনাল রাউন্ডে সেরা তিন বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু ভোটিং সিস্টেম ছিল না। বেছে নেয়া হয় র‌্যাম্প শোর মাধ্যমে। এই বিউটি কনটেস্টে জিতে আমি অনেক খুশি। সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও অনেক বেড়েছে। এখন মনে হচ্ছে আমাকে দিয়ে সবই সম্ভব।’ ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি? মডেলিং/ফ্যাশন শো/অভিনয় করার প্ল্যান আছে? যদি থাকে, তাহলে কি প্রীতির টেনিস খেলার এখানেই ইতি? ‘না, তা হবে কেন? আগামীতে যাই করি না কেন, টেনিসকে পাশে রেখেই সব করব ইনশাল্লাহ।’ প্রীতির আত্মপ্রত্যয়ী কণ্ঠ। দ্বিতীয় হবার পর পরিবার, বন্ধুমহল ও স্বজনদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও জানান বাগেরহাটের মেয়ে প্রীতি, ‘আমার পরিবারের জন্যই আজ আমি এখানে। তাই আমার সাফল্যে তারা ভীষণ খুশি। তাদের সমর্থন-সহযোগিতা ছাড়া আমি কিছুই করতে পারতাম না।’ প্রীতির এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিয়ে মিডিয়াগুলোর মধ্যে একমাত্র জনকণ্ঠই নিউজ করেছিল। তাদের এই প্রতিবেদন প্রকাশে প্রীতির জন্য ভোট পেতে বা প্রচার পেতে সুবিধা হয়েছিল বলে জানান তিনি, ‘অনেক সাহায্য পেয়েছি জনকণ্ঠের মাধ্যমে। এজন্য জনকণ্ঠকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’ এই বিউিটি কনটেস্টের বিশেষত্ব ছিলÑ সব প্রতিযোগীর মধ্যে প্রীতিই ছিলেন একমাত্র খেলোয়াড়। ২০১১ সালে বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়া প্রীতি ২০১৫ সালে বিকেএসপির সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছিলেন। সেরেনা উইলিয়ামসকেই আদর্শ মানেন প্রীতি। তবে ভাল লাগে মারিয়া শারাপোভাকেও।
×