ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতারক এজেন্সি;###;লিয়াকত হোসেন খোকন

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ হজ

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১৭ আগস্ট ২০১৭

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ হজ

আমরা কোন দেশে ভ্রমণে কিংবা কোন কাজে বিদেশে যেতে চাইলে আমাদের নিজ নিজ উদ্যোগেই ওই সব দেশের দূতাবাসের সঙ্গে তাদের চাহিদা মোতাবেক কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করে থাকি। বর্তমান সময়ে এটাই নিয়ম। আজ পর্যন্ত দেখিনি কেউ কিংবা কোন এজেন্সি এসে আমাদের ভিসার কাজটা করে দিয়েছে। ভারতে যেতে হলে তো পাসপোর্টসহ কাগজপত্র নিয়ে ভারতীয় ভিসা অফিসে সরাসরি উপস্থিত হতে হয়। ভারতসহ অন্যান্য দেশে গিয়ে কোথায় কে উঠবেন, কোথায় কে থাকবেন-এ দায়িত্ব তো যিনি বিদেশ যান তার ওপরই বর্তায় অর্থাৎ তা করতে হয় নিজ নিজ উদ্যোগেই। প্রসঙ্গটা বলছি এ জন্য যে, প্রতিবছর এজেন্সির মাধ্যমে নন ব্যালটিদের ক্ষেত্রেই হজে যাওয়া নিয়ে নানা রকম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কোন কোন এজেন্সির মাধ্যমে গেলে যেমনÑ যথাসময়ে ভিসা না হওয়া; বিমানের টিকেট না পাওয়া; সৌদি-আরবে থাকায় বাড়ি ঠিক না হওয়া ইত্যাদি কত কি সমস্যা। এবারও এ রকম বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে। যে জন্য কতিপয় এজেন্সিকে নিয়ে ইদানীং শুধু শুনেই যাচ্ছি নানা রকম বিরূপ মন্তব্য। এর দায় কেউ কেউ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ওপর চাপাচ্ছেন। আর চাপাবেনই না কেন, এজেন্সির লাইসেন্স তো সরকারই দেন। এদিকে একদল যাত্রী সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে হজে যান। আরেকদল এজেন্সির মাধ্যমে গিয়ে থাকেন তাদের বলা হয় নন ব্যালটি। যত গোলমাল ও নৈরাজ্য হয় যারা এজেন্সির মাধ্যমে যান তাদের ক্ষেত্রেই। এ-ও শুনি কেউ কেউ কোন এজেন্সিকে গত বছর টাকা দিয়ে এবারও হজে যেতে পারেননি। যেহেতু হজে যাওয়া নিয়ে কোন কোন এজেন্সির মালিক হজ যাত্রীদের সঙ্গে রীতিমতো প্রতারণা করেই যাচ্ছেন। কেউ বা হজে পাঠানোর ব্যাপার নিয়ে একটা প্রতারণার ব্যবসা ফাঁদ খুলে বসেছে। এ অবস্থায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত হবে, যে সব এজেন্সি হজে পাঠানো নিয়ে এবারও প্রতারণা করেছে তাদের তালিকা তৈরি করে লাইসেন্স বাতিল করা। যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার পরে যারা হজে যেতে পারেননি তাদের টাকা আদায় করে দেয়ার ব্যবস্থাও নিতে হবে। কেননা, তাদের কেউ কেউ জায়গা জমি বিক্রি করে হজের টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। প্রতারক এজেন্সিগুলোর মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সৌদি দূতাবাসের কাছে এ-ও প্রস্তাব দিতে পারেন, ‘আর কখনও এজেন্সির মাধ্যমে হজে পাঠানো গ্রহণযোগ্য হবে না। সরকারের মাধ্যম ছাড়া যারা যাবেন তারা আগামী বছর থেকে ঢাকার সৌদি-দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করবেন।’ আর সৌদি দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এ প্রস্তাব গ্রহণ করলেই ভবিষ্যতে হজে যাওয়া নিয়ে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য দূর করা সম্ভব হবে। রায়বাহাদুর রোড, পিরোজপুর থেকে
×