ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মৌসুম শেষেও থোকায় থোকায় ঝুলছে আম ‘নীলউদ্দিন’

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৩১ জুলাই ২০১৭

মৌসুম শেষেও থোকায় থোকায় ঝুলছে আম ‘নীলউদ্দিন’

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ ‘আমরাজ্য’ খ্যাত রাজশাহী অঞ্চলে মৌসুম শেষে, এখন শেষের পথে পাকা আমের ভা-ার। কিছু ফজলি আর আশ্বিনা জাতের পাকা আম কেবল রয়েছে স্বল্প পরিসরে। এমন সময়ে থোকায় ঝুলানো কাঁচা সবুজ আম দেখে যে কারও অবাক হওয়ার কথা। অসময়ে থোকায় ঝোলানো কাঁচা আম দেখে অবাকই হচ্ছেন অনেকেই। অসময়ে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের গাছে মিলেছে এমন আম। ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমানের বাড়ির পাশে গাছে ধরে আছে ছোট আম। যেখানে আমের মৌসুম শেষ সেখানে সবেমাত্র গাছে ধরেছে আম। বাড়ির মালিক আবদুর রহমান জানান, এ আমের জাতটির নাম ‘নীলউদ্দিন’। বছরে দুইবার গাছে ধরে আম। মূলত ভারতীয় জাতের আম এটি। গাছটির মালিক আব্দুর রহমান জানান, সারা বছর আম পাওয়া যাবে ভেবে পাঁচ বছর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টার থেকে শখের বসে পাঁচটি ‘নীলউদ্দিন’ জাতের কলম করা চারা এনে রোপণ করেছিলেন। রোপণের তিন বছরের মাথায় তার গাছে আম আসতে শুরু করে। এবারও অসময়ে গাছে প্রচুর পরিমাণে থোকায় আম ধরেছে। আমের কারণে গাছের ডাল হেলে পড়ার উপক্রম হয়েছে। পূর্ণতা পেলে একটি আমের ওজন ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। এ আম দেখতে গ্রামসহ আশপাশের লোকজন প্রতিদিন আসছেন। তিনি আরও বলেন, অসময়ের আম হলেও খেতে খুব খারাপ নয়। এটি আরও ৪০ থেকে ৫০ দিন পরে পাকতে শুরু করবে। সম্প্রতি ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট ছোট গাছে থোকায় ঝুলে আছে গাঢ় সবুজ রঙের আম। গাছের মালিক বাঁশ দিয়ে এসব আম আটকে রেখেছেন। পরিচর্যাও করছেন তিনি। তিনি বলেন, অন্যান্য আমের মতো স্বাদ না হলেও বছরে দুইবার ফলন হয়। একবার মৌসুমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফল ধরে। পরে আম শেষ হয়ে গেলে আবার মুকুল আসে। পরে গুঁটি ধরে। এবারও দ্বিতীয়বার আম এসেছে তার গাছে বলে জানান আবদুর রহমান।
×