ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চ্যালেঞ্জ বাড়বে

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৩ জুলাই ২০১৭

রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চ্যালেঞ্জ বাড়বে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন না হওয়ায় রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চ্যালেঞ্জ বাড়বে। এমনকি সম্ভব হবে না উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। তবে প্রশাসনিক কাঠামোর সংস্কার ও পুরনো ভ্যাট আইনের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। এমন মত অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুরের। অন্যদিকে এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মনে করেন, নতুন আইন বাস্তবায়ন না হওয়ায় খুব একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না রাজস্ব আহরণে। বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের সিংহভাগই আসে রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে। আর প্রতিবছরই নির্ধারণ করা হয় সেই লক্ষ্যমাত্রা। স্বাধীনতার পর সর্বপ্রথম ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হলেও এখন তা ছাড়িয়ে গেছে ৪ লাখ ২শ’ কোটি টাকা। এতে বেড়েছে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রাও। গত অর্থবছরে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। বড় অঙ্কের এই রাজস্ব আহরণের অন্যতম একটি ক্ষেত্র হওয়ার কথা ছিল ২০১২ সালের ভ্যাট আইন। নানা সমালোচনার মুখে যেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না এ অর্থবছরেও। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এর ফলে রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। জিএসটি ভারতের অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গোটা ভারতকে জিএসটি বা এক কর নীতির আওতায় নিয়ে এসেছে মোদি সরকার। নতুন এই কর নীতিতে দাম অপরিবর্তিত থাকছে চাল, ডাল, সাবান ও ওষুধের মতো নিত্যপণ্যের। তবে, উচ্চ করের আওতায় পড়ছে কম ও মাঝারি দামের গাড়ি এবং গহনা। গেল বছর ৫০০ ও ১০০০ রুপীর নোট বাতিলের পর ভারতের অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা বলছেন বিশ্লেষকরা। জিএসটি না মানার ঘোষণা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও কাশ্মিরে বনধ ডেকেছেন ব্যবসায়ীরা। কয়েক দশকের মধ্যে ভারতের অর্থনীতির বড় সংস্কার বলা হচ্ছে ‘গুডস এ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স’ বা ‘পণ্য পরিষেবা করকে’। জিএসটি নামে মোদি সরকারের নতুন এই ট্যাক্সনীতিতে কম ও মাঝারি দামের গাড়ি, টিভি-ফ্রিজ ও গহনার ক্ষেত্রে বসবে ১৮ ভাগ কর। সব মিলে ভারতের ৮০ ভাগ পণ্যকেই করের আওতায় আনা হচ্ছে। তবে, চাল-ডালসহ নিত্য পণ্য, স্মার্টফোন এবং ওষুধের ক্ষেত্রে করের হার কম থাকায় দাম অপরিবর্তিতই থাকছে।
×