ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইউজিসি সভা

৩৭ পাবলিক ভার্সিটির জন্য ৪ হাজার ১৫১ কোটি টাকা অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ৯ জুন ২০১৭

৩৭ পাবলিক ভার্সিটির জন্য ৪ হাজার ১৫১ কোটি টাকা অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের ৩৭ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নতুন অর্থবছরে চার হাজার ১৫১ কোটি ৫১ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে কমিশনের ১৪৭তম পূর্ণ কমিশন সভায় বৃহস্পতিবার এ বাজেট অনুমোদন করা হয়। ইউজিসি সচিব ড. মোঃ খালেদ সভায় বাজেট উপস্থাপন করেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মোঃ আখতার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবর, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন প্রফেসর ড. এম ওহিদুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মোঃ সহিদুল্লা প্রমুখ। সভায় মঞ্জুরি কমিশন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুন্নয়ন খাতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মূল বাজেট অনুমোদন করেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে অনুন্নয়ন খাতে বাজেট ছিল তিন হাজার ৭৮৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে বৃদ্ধি পেয়ে তিন হাজার ৮৪৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। কমিশনের ব্যয় নির্বাহের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে অনুন্নয়ন খাতে বাজেট ছিল ৩৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৬ কোটি ২৩ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অনুন্নয়ন খাতে মঞ্জুরি কমিশনের জন্য ৩৭ কোটি লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য, উচ্চশিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গবেষণায় বরাদ্দের পরিমাণ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মূল বাজেটে ২৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বিপরীতে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের মূল বাজেটে ৬১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সভায় কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব মোঃ মনিরুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। জ্বর মানেই চিকনগুনিয়া নয়, গ্রীন ইউনিভার্সিটির সেমিনার চিকনগুনিয়া এক ধরনের জ্বর। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, এক সপ্তাহ পর থেকেই এ জ্বর ভাল হওয়া শুরু করে। তাছাড়া সব জ্বরই চিকনগুনিয়া নয়। বৃহস্পতিবার গ্রীন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের হলরুমে আয়োজিত এক সেমিনারে উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। সেমিনারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম সামদানী ফকির প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। আলোচনায় অংশ নেন ডাঃ মোঃ রাশেদুল আলম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালক মোঃ শহীদ উল্লাহ সেমিনার পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে চিকনগুনিয়া জ্বরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ ফয়জুর রহমান, ড. হেলাল উদ্দিন, প্রভাষক মোঃ মুনীরুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বক্তারা বলেন, মশা থেকে দূরে থাকাই এ রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়। এটা মরণঘাতী কোন রোগ নয়। তবে প্রতিকারের জন্য সতর্ক থাকতে হবে। তারা বলেন, ভাইরাসজনিত অন্যসব জ্বরের মতোই এর নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। জ্বর হলে প্রচুর পানি, সরবত, ওরস্যালাইন ও ডাবের পানি পান করতে হবে। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খেতে হবে। বমি বা অন্যান্য উপসর্গের জন্য হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
×