ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রক্রিয়া সহজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর

জটিল প্রক্রিয়ার কারণে বৈধপথে দেশে স্বর্ণ আসে না

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ১৯ মে ২০১৭

জটিল প্রক্রিয়ার কারণে বৈধপথে দেশে স্বর্ণ আসে না

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বৈধভাবে আমদানির সুযোগ থাকলেও দেশের বাজারে সে পথে ঢুকে না স্বর্ণ। দেশে বিশাল বাজারে তাই একমাত্র ভরসা ব্যাগেজ রুলস। অর্থাৎ বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা যে পরিমাণ সোনা নিয়ে আসছেন তা দিয়েই মিটছে চাহিদা -তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে সুযোগ থাকার পরও কেন স্বর্ণ আমদানি করেন না ব্যবসায়ীরা? তাদের দাবি সোনা আমদানি প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল, ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ। তাই আমদানি নীতিমালা সংশোধনের দাবি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। স্বর্ণ কেবল একটি ধাতব বস্তুই নয় বাঙ্গালী সমাজে বিয়ে সাদি, উৎসব-পার্বনে সৌন্দর্য্যরে অন্যতম অনুষঙ্গও। অনেকের কাছে তা আবার বিপদের অবলম্বনও। এই স্বর্ণকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক কর্মকা- হয় দেশের কেন্দ্র থেকে প্রান্ত সবখানে। তবে এর প্রায় পুরোটাই হয় অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়। আইনে বিদেশ থেকে সোনা আমদানির সুযোগ থাকলেও, আমলাতন্ত্রের দীর্ঘ বেড়াজাল আর বেশি ব্যয়ের কারণে সে পথে যান না দেশের কোন স্বর্ণব্যবসায়ীই। বৈধভাবে শুল্ক ছাড়া একজন যাত্রী বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ ভরি কিছু বেশি স্বর্ণ আনতে পারেন দেশে। আর তা যদি হয় স্বর্ণের বার তাহলে হবে প্রায় ১৭ ভরির মতো। এর বেশি হলে গুণতে হয় শুল্কের টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, এভাবেই বেশি স্বর্ণ আসে দেশে পাশাপাশি পুরনো স্বর্ণের পুনর্ব্যবহারেই মিটে এই ধাতুর চাহিদা। ক্যামেরার সামনে স্বীকার না করলেও কেউ কেউ বলেন অবৈধভাবেও বাজারে ঢুকে অনেক স্বর্ণ। স্বর্ণ আমদানিতে জটিলতার কথা স্বীকার করেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালকও। তিনি বলেন, এই জটিলতা নিরসনে এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। স্বর্ণ আমদানির নীতিমালা ব্যবসাবন্ধব করা হলে এ থেকে সরকার আরও বেশি রাজস্ব আদায় করতে পারবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
×