
সংগৃহীত
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম এক লাফে চড়া। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে বর্তমানে বেশিরভাগ সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজির ওপরে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে ঢাকার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। দোকানিরা বলছেন, উৎপাদন খরচ ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। কিন্তু ভোক্তাদের অভিযোগ, এর পেছনে ‘সিন্ডিকেট’ ও বাজার নিয়ন্ত্রণে দুর্বল তদারকি দায়ী।
যে দামে কী বিক্রি হচ্ছে সবজি
- শসা ৮০-৯০ টাকা কেজি
- বেগুন ৭০-৮০ টাকা
- পটোল ৬৫-৭৫ টাকা
- ঝিঙ্গা ও কাঁকরোল ৭০-৯০ টাকা
- টমেটো ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই
- বরবটি ও করলা ৮০-১০০ টাকা
- চাল কুমড়া ও লাউও ৫০-৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে
বাজার করতে আসা মতিঝিল এলাকার গৃহিণী রেশমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দিনে দিনে শুধু দাম বাড়ে, কমে না। মাছ-মাংস তো দূরের কথা, এখন তো সবজি খাওয়াও কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”
তবে কৃষকদের ভাষ্য, তারা দাম বেশি পাচ্ছেন না। ক্ষেত থেকে পাইকাররা তুলনামূলক কম দামে সবজি কিনে বাজারে অনেক বেশি দামে বিক্রি করছেন।
গাজীপুরের এক চাষি জানান,“আমি পটোল বিক্রি করি ২৫-৩০ টাকায়। বাজারে সেটা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়। মাঝখানে কারা এত লাভ করছে, সেটা আমরা জানি না।”
নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনের সদস্য ও ভোক্তা অধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের দুর্বলতা, সংরক্ষণের অভাব, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং নজরদারির ঘাটতিই এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী।
ভোক্তাদের দাবি, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারি মনিটরিং টিমকে আরও সক্রিয় হতে হবে। যারা অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এমন অস্থির দামের কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ঈদ বা মৌসুমি সময় ছাড়াও যখন সবজির এমন দাম হয়, তখন তা একটি বড় সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকেত দেয়। এখনই বাজার ব্যবস্থাপনায় শক্ত হাতে হস্তক্ষেপ না নিলে সামনে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
হ্যাপী