
ছবি: সংগৃহীত
হার্ট বা হৃদযন্ত্র মানুষের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। এটি প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ বার স্পন্দন করে এবং সারা শরীরে রক্ত সরবরাহ করে থাকে। তবে বর্তমান জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি চারজনে একজন হৃদরোগজনিত জটিলতায় আক্রান্ত হন। তাই হার্ট ভালো রাখতে এখনই প্রয়োজন সচেতনতা ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা।
১. প্ল্যান করে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
লবণ, চিনি ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার হার্টের প্রধান শত্রু। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন (যেমন মাছ, মুরগি), আঁশযুক্ত শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম এবং ওটস রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বর্জন করুন: ফাস্ট ফুড, প্রসেসড খাবার, কোমল পানীয়, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া।
২. নিয়মিত ব্যায়াম ও চলাফেরা করা
হার্ট সুস্থ রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিটের মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম জরুরি। হাঁটা, দৌড়ানো, সাইক্লিং, সাঁতার কিংবা নাচের মতো অ্যাকটিভিটিগুলো হৃদপিণ্ডকে মজবুত রাখে। রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকেওজন কমে, রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। মানসিক চাপ কমে, ঘুম ভালো হয়।
৩. ধূমপান ত্যাগ ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
ধূমপান হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ। এটি ধমনিকে সংকুচিত করে, রক্তচাপ বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দ্বিগুণ করে তোলে। একইভাবে দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ হৃদরোগের "নীরব ঘাতক"। ধূমপান সম্পূর্ণ পরিহার করুন। মেডিটেশন, প্রার্থনা, বই পড়া কিংবা প্রকৃতিতে সময় কাটান।
বোনাস টিপস:
বছরে অন্তত একবার হার্ট চেকআপ করান
পরিবারে হার্ট ডিজিজের ইতিহাস থাকলে অতিরিক্ত সচেতন থাকুন
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওজন কমানোর ওষুধ খাবেন না
হার্ট ভালো রাখতে চাইলে খাবারে নিয়ন্ত্রণ, চলাফেরায় অভ্যাস এবং মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখাই মূল চাবিকাঠি। এই তিনটি অভ্যাস নিয়মিত মেনে চললে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে, জীবন হবে আরও সুস্থ ও প্রাণবন্ত।
ফারুক