ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাস্তা দখল করে গাড়ি রাখায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট

প্রকাশিত: ০৭:১২, ২২ এপ্রিল ২০১৭

রাস্তা দখল করে গাড়ি রাখায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইমারত নির্মাণ আইনের তোয়াক্কা না করে পার্কিং ব্যবস্থা ছাড়াই রাজধানীতে গড়ে উঠেছে বহুতল অনেক ভবন। পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় রাস্তা দখল করে গাড়ি রাখায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। এদিকে, বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী। অন্যদিকে, অবৈধ পার্কিং বন্ধে ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ দৃষ্টিতে মতিঝিলের রাস্তা দেখলে মনে হবে এটি কোন পুরনো গাড়ির বাজার। তবে, বাস্তবে এটি রাস্তায় অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের চিত্র। রাজধানীর বিভিন্ন ব্যস্ত এলাকায় সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও শপিংমলে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় এমন রাস্তা দখল করে চলে গাড়ি পার্কিং। এতে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয় যানজটের। অবৈধ পার্কিং বন্ধে তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায় না ট্রাফিক পুলিশের। রাজউকের ইমারত নির্মাণ আইন অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করতে হলে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক। ভবনের আয়তন অনুযায়ী গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা আইনে নির্দিষ্ট করা থাকলেও কোন কোন ভবনের নক্সায় পার্কিং ব্যবস্থা নেই। আবার নক্সায় থাকলেও বাস্তবে কোন কোন বহুতল ভবনের পার্কিংয়ের জায়গায় তৈরি করা হয়েছে দোকানপাট। এসবের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক সময় রাজউককেই হতে হয় মামলার মুখোমুখি। তবে, আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী। রাজউক চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী একটি টিভি চ্যানেলকে বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে তারা দোকান, রেস্তরাঁ থেকে ব্যাংকের বুথও করেছে। তবে এমন অনেক কিছু আমরা অপসারণ করেছি এবং আমাদের এটা অব্যাহত আছে। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, যেবব শপিং কমপ্লেক্স বা এ্যাপার্টমেন্ট যেগুলো অনুমোদন নিচ্ছে যদি সেখানে দেখানো থাকে যে পার্কিং হবে তাহলে সেখানে পার্কিং করা উচিত। এটা উদ্ধার করা উচিত। আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেব, নিচ্ছিও কিছু কিছু। যানজট নিরসনে শপিংমলের সামনে পার্কিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রাখার পাশাপাশি অবৈধ পার্কিং বন্ধে ট্রাফিক পুলিশের সর্বদা নজরদারির প্রতি গুরুত্ব দেন বিশেষজ্ঞরা। নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, অসংখ্য ভবন হয়েছে যেগুলোতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম হচ্ছে কিন্তু তাদের কোন পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। অন্যান্য কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মতো এই ট্রাফিক পুলিশ তৈরি করতে পারে যারা এই জরিমানার টাকার অংশ দিয়ে তাদের অর্থ সংস্থান তৈরি হতে পারে। কিন্তু তারা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে এই কাজটা পরিচালনা করবেন। শুধুমাত্র জরিমানা ও উচ্ছেদের মাধ্যমেই যানজট নিরসন সম্ভব নয়, এর জন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি আইন মেনে চলার তাগিদ দিলেন এই বিশেষজ্ঞ।
×