ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলিক বইয়ের সঙ্কট, তবু হাসিমুখে পছন্দের বই খোঁজা

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মৌলিক বইয়ের সঙ্কট, তবু হাসিমুখে পছন্দের বই খোঁজা

মোরসালিন মিজান ॥ এক মাসের আয়োজন। ২৮ দিন বই নিয়ে থাকা। পৃথিবীর আর কোন দেশে এত লম্বা আয়ুর বইমেলা হয়, জানা নেই। তার চেয়ে বড় কথা, এটি বাঙালীর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত। অমর একুশে গ্রন্থমেলার আবেদন তাই ফুরোয় না। কিন্তু নিয়ম মেনে আজ মঙ্গলবার ভাঙছে চেতনার রঙে উজ্জ্বল অভূতপূর্ব মিলনমেলা। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির শেষদিনে শেষ হবে বইয়ের উৎসব। প্রতিবারের মতোই ২৭তম দিনটি ছিল মন খারাপ করা। মেলার প্রবেশদ্বার খুলতে না খুলতেই ছুটে এসেছিলেন একদল বইপ্রেমী। হুড়মোর করে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। এবং বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে থেকে দেখা গেছে, বই সংগ্রহই ছিল এদিনের একমাত্র কাজ। নতুন বই প্রচুর আসলেও মৌলিক গ্রন্থের অভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। গত ২৭ দিন মেলার প্রায় প্রতিটি স্টল ঘুরে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে, পুরনো লেখার নিত্যনতুন উপস্থাপনা। বড় লেখকদের পুরনো লেখা নানা নামে আকর্ষণীয় মোড়কে মেলায় আনা হয়েছে। প্রিয় লেখকের নতুন বই কি এসেছে? পাঠকের এমন প্রশ্নে স্টলের কর্মীরা যে বই হাতে তুলে দিয়েছেন সেসবের অধিকাংশই আগে প্রকাশিত। এ আলোচনায় উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারেন ক্ষণজন্মা লেখক হুমায়ূন আহমেদ। নন্দিত উপন্যাসিক অনেক আগে গত হয়েছেন। সোনার কলম তার থেমে গেছে। থেমে গেছে বটে। নতুন বই প্রকাশ থামেনি একদম। লেখকের জীবিত অবস্থায় যারা হুমায়ূন আহমেদের বই প্রকাশ করেছেন, তারা সেসব বই থেকে দুটি তিনটি কিংবা পাঁচটি লেখা আলাদা করে ‘নতুন বই’ করেছেন। অন্যপ্রকাশ থেকে হুমায়ূন এসেছেন ‘মুক্তিযুদ্ধের বাছাই গল্প’ শিরোনামে। তাম্রলিপি থেকে এসেছে একই লেখকের ‘সেরা পাঁচ মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস।’ একই প্রতিষ্ঠান বের করেছে ‘সেরা পাঁচ ভৌতিক উপন্যাস’ এবং ‘সেরা সাত কিশোর উপন্যাস।’ কাকলী হুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন উক্তি সংগ্রহ করে সেগুলো এক মলাটে পাঠকের হাতে তুলে দিয়েছেন। আরও কয়েকজন লেখকের বেলায় এমন ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। অধিকাংশ বইয়ে একই লেখা একাধিক মোড়কে সাজানো। অনুপম প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নে গিয়ে হুমায়ূন আহমেদের একটি বই হাতে নিয়ে তো এক পাঠক রেগেমেগে অস্থির। তার অভিযোগÑ হুমায়ূন আহমেদের আগে পড়া দু’টি উপন্যাস এক বইতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। একটি উপন্যাসের জন্য বাকি দুইটি তিনি কেন আবার কিনবেন? জানতে চাইছিলেন বিক্রয়কর্মীদের কাছে। মেলার বইগুলো হাতে নিয়ে দেখা যায়, সমকালীন লেখক সেলিনা হোসেন, হাসান আজিজুল হক, সৈয়দ মনজুরুল হক, আহমদ রফিকসহ অনেক লেখকের লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রেও বিচিত্র ঘটনা ঘটেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেক লেখক পুরনো বই প্রকাশের ব্যাপারে খুব আগ্রহী। মেলায় এমন অনেক লেখা খুঁজে পাওয়া গেছে যেগুলো প্রথমে পত্রিকার বিশেষ সংখ্যায় ছাপা হয়েছে। দ্বিতীয়বার ছাপা হয়েছে বই আকারে। তার পর অনেক দিন খোঁজ নেই বইয়ের। সে বই খুঁজে বের করে নতুন কোন প্রকাশককে ছাপার অনুমতি দিয়েছেন লেখক নিজেই। কিছু টাকা পাওয়া গেল, মন্দ কী? এমন চিন্তা থেকেই মূলত পুরনো বই নতুন করে ছাপতে দেয়া হয় বলে জানান একাধিক প্রকাশক। টাকা একটু কম দিতে হয় তাই তারাও পুরনো লেখা থেকে বই করেন। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ইমেজ বাড়াতেই খ্যাতিমানদের পুরনো বই প্রকাশ করেছেন বলে তারা জানান। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকজন প্রকাশকের সঙ্গে কথা হয় মেলায়। তাদের একজন আফজাল হোসেন। অনিন্দ্য প্রকাশের কর্ণধার। তিনি নিজেও বেশ বিরক্ত। বলেন, আমি অনেক বড় লেখকের কাছে গিয়েছি পা-ুলিপি আনার জন্য। তারা আমাকে অনেক আগে ছাপা হওয়া লেখা ধরিয়ে দিয়ে বলেছেন, এটা ছাপতে পারেন। মার্কেটে নেই। আমি কথা শুনে ফিরে এসেছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নাম ডাক আছে এমন লেখকরা টাকার জন্য একই লেখা এমনকি ৮ থেকে ১০ বার বিক্রি করেন। এটা সবার জন্যই বিব্রতকর। এত দিন মেলা ঘুরে দেখা গেছে, অনুবাদ গ্রন্থের ছড়াছড়ি। জনপ্রিয় সব বিদেশী বইয়ের গায়ে নতুন মোড়ক লাগিয়ে নিয়েছেন প্রকাশকরা। ছোট প্রকাশক বড় প্রকাশক প্রায় সবাই অনুবাদে জোর দিয়েছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশে অনুবাদকের সঙ্কট চরমে। কিন্তু অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে অগণিত। এমন স্টল খুব কম ছিল মেলায় যেগুলোতে অনুবাদ ছিল না। এত যে অনুবাদ, কেন? খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ ধরনের বই আগে থেকেই প্রচারে ছিল। পাঠক বই বা লেখকের সঙ্গে মোটামুটি পরিচিত। সহজেই আকৃষ্ট হন। বিষয় বৈচিত্র্যের কারণেও অনুবাদ সংগ্রহ করেন পাঠক। আর এ ধরনের প্রকাশনার জন্য প্রকাশককে টাকা গুনতে হয় অনেক কম। সব মিলিয়ে অনুবাদে বলা চলে সয়লাব মেলা। হ্যাঁ, নতুন লেখাও কম আসেনি। তবে বেশির ভাগ লেখার মান খারাপ। শুধু খারাপ বললে বোঝানো যাবে না। খুব খারাপ। গল্প উপন্যাসের পাতা উল্টে দেখা গেছে, সাহিত্যেও কোন উপাদান নেই। শব্দ চয়ন বাক্য গঠন ভুল। শুধু আবেগ আছে। তাই দিয়ে বই। মহিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কথা ॥ মেলায় এদিন পাওয়া গেল দেশের খ্যাতিমান প্রকাশক মহিউদ্দিন আহমেদকে। ইউপিএলের কর্ণধারের সঙ্গে বাংলা একাডেমিতে কথা হয়। মৌলিক গ্রন্থের অভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মৌলিক লেখকের অভাব হলে মৌলিক গ্রন্থের অভাব হবেই। তবে একই লেখকের পুরনো লেখা নতুন মোড়কে ছাপানো প্রসঙ্গে ইতিবাচকই বলেন তিনি। তার মতে, সারা বিশ্বেই পপুলার লেখকদের বই যতভাবে সম্ভব বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। মেলার সদস্য সচিবের বক্তব্য ॥ বই হচ্ছে। মান? এর কোন উন্নতি হচ্ছে কি? প্রশ্নটি মেলা শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তুলেছিলন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান নিজেই। মেলার শেষ পর্যায়ে এসে কি অভিজ্ঞতা? সোমবার জানতে চাওয়া হয় জালাল আহমেদের কাছে। মেলা পরিচালনা কমিটির তিনি সদস্য সচিব। বলেন, আমরা মানসম্পন্ন বইয়ের একটি তালিকা করার চেষ্টা করছি এবার। আজকালের মধ্যে মানসম্পন্ন বইয়ের একটি তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। তাহলে মূল প্রকাশনা সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যাবে। হুমায়ুন আজাদকে স্মরণ ॥ বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদের ওপর মৌলবাদী চক্রের সন্ত্রাসী হামলার বার্ষিকী উপলক্ষে একুশে গ্রন্থমেলায় বিকেলে তাকে স্মরণ করা হয়। লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় মূল বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। আরও বক্তব্য রাখেনÑ বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, সুভাষ সিংহ রায়, মারুফ রসূল, শাহাদাৎ হোসেন নিপু প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ওসমান গনি। সভা সঞ্চালনা করেন কবি আসলাম সানী। বক্তারা বলেন, হুমায়ুন আজাদের হত্যাচেষ্টার বিচার অবিলম্বে বাস্তবায়ন এবং তার আদর্শে মৌলবাদ-জঙ্গীবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমাজ-রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে তাকে স্মরণ করতে হবে। সময় বাড়ল শেষদিনের মেলার ॥ অমর একুশে গ্রন্থমেলার সময় কয়েক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। ২৮তম দিনে মেলা শুরু হবে বেলা ১১টায়। চলবে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। রবিবার মেলায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। নতুন বই ॥ মেলার ২৭তম দিনে সোমবার মেলায় বই এসেছে ১৫৫টি। কিছু বই আগেই এসেছিল মেলায়। সেসব বইয়ের কয়েকটির কথা বলা যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর আতিউর রহমানের বই ‘বুনে গেলাম আশার স্বপন।’ গভর্নরের দিনলিপি প্রকাশ করেছে অন্যপ্রকাশ। আগামী থেকে প্রকাশিত হয়েছে সৈয়দ জাহিদ হাসানের প্রবন্ধ সংকলন ‘লালন বিতর্ক।’ গবেষণাধর্মী লেখায় লালন দর্শনের বিশ্লেষণ, বাউল তত্ত্বের অনেক জটিল বিষয়। যথেষ্ট সরল ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, তার গান, স্বরলিপি, দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে লিখেছেন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা। বইয়ের শিরোনামÑ গীত ও সুরের ভিন্ন ঊর্মিমালায় নজরুল সঙ্গীত।’ প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য। স্বতন্ত্র ধারার গল্পকার জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের ‘দুর্বিনীত কাল’ প্রকাশ করেছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশনস। ছোট পরিসর বইতে আছে উল্লেখ করার মতো ৯টি গল্প। কাজী আলিম-উজ-জামানের দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘সন্ধ্যায় ফেরার সময়।’ প্রকাশ করেছে অ্যাডর্ন। গণমানুষের প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির বিপুল ব্যবধানের কথা নিজস্ব ভাব ও ভাষায় প্রকাশ করেছেন তিনি। বৈষম্য ব্যবধানের বিরুদ্ধে হয়েছেন প্রতিবাদী কণ্ঠ। বইয়ের একটি আলোচনা থেকে বলা যাক, যেখানে বলা হয়েছেÑ দুই মলাটের মধ্যে আবদ্ধ এ-গল্পগুলো যুগপৎ গল্প হয়েও সত্য আর সত্য হয়েও গল্প। মেলার একেবারে শেষভাগে প্রকাশিত হলোÑ শামসউজজোহার বই ‘বাবার পাঞ্জাবি।’ এই লেখকের সাবলীল লেখা। চট করে ফেলার মতো। নিজের চারপাশ ও চিন্তার নানা দিক গদ্যের ভাষার বলেছেন লেখক। বইটি প্রকাশ করেছে বাংলালিপি। ছোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বরাবরের মতোই সুন্দর কাজ। মূল মঞ্চের আয়োজন ॥ গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশের প্রকাশনা : গ্রন্থ পরিকল্পনা ও সম্পাদনা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তারিক সুজাত। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মফিদুল হক, বদিউদ্দিন নাজির এবং খান মাহবুব। সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস প্রকাশক মহিউদ্দিন আহমেদ। প্রাবন্ধিক বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে প্রকাশনার মান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি প্রকাশনার ক্ষেত্রে পেশাদারী দৃষ্টিভঙ্গিও তৈরি হয়েছে। ডিজিটাল ফটোগ্রাফি, ডিজিটাল ইমেজÑ এসব বিষয়গুলো হাতের নাগালে চলে আসায় প্রকাশনা সহজ হলেও এর জটিল দিকও উন্মোচিত হয়েছে। তবে ই-বুক্স বা বৈদ্যুতিক পুস্তক, অডিও বই কিংবা ইন্টারনেটের ব্যাপক বিস্তার, ডিজিটাল উপাদানের সহজলভ্যতা প্রচলিত প্রকাশনার ধারণাকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করালেও মুদ্রিত বইয়ের আবেদন শ্বাশত চিরকালীন। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এবং পাঠকের পরিবর্তিত পাঠাভ্যাসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রকাশনার মানোন্নয়নের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি, যোগ্য সম্পাদক তৈরি, আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ, প্রশিক্ষণ যেমন প্রয়োজন রয়েছে তেমনি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আলোচকরা বলেন, আমাদের দেশে ভাল পা-ুলিপির যেমন অভাব রয়েছে, তেমনি যথাযথ সম্পাদনার অভাবে ভালো পা-ুলিপি থেকেও অনেক সময় ভালমানের বই প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। সেই সঙ্গে প্রকাশকের বিনিয়োগ সীমাবদ্ধতা, দক্ষ জনশক্তির অভাব ও বাজার অব্যবস্থাপনা প্রকাশনা শিল্পের বিকাশকে ব্যাহত করেছে। তারা বলেন, বই প্রকাশনার মূলভিত্তি পাঠক-চাহিদা আর পাঠকসংখ্যা বৃদ্ধি না পেলে প্রকাশনার মান রক্ষা করে ব্যয় নির্বাহ করা প্রকাশকের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। এসব সমস্যা সমাধানকল্পে প্রকাশনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতার সম্পর্ক থাকা একান্ত জরুরি। সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে ভালমানের বই প্রকাশের জন্য প্রকাশনার জগতে দক্ষ জনশক্তি ও অধিক বিনিয়োগ দুটিই প্রয়োজন। সেই সঙ্গে জাতীয় গ্রন্থনীতি ও গ্রন্থাগারনীতি বাস্তবায়ন করাও অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল প্রবীর দত্ত’র নির্দেশনায় এবং গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির পরিবেশনায় নাটক ‘মুনীর চৌধুরী।’
×