ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজার নিজস্ব গতিতে চলবে ॥ খায়রুল হোসেন

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭

পুঁজিবাজার নিজস্ব গতিতে চলবে ॥ খায়রুল হোসেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারের বর্তমান গতি ও লেনদেন সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা সেদিকে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নজর দিতে বললেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। সোমবার রাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তিনি আরও বলেন, ২০১০ সালের বাজারের উত্থান স্বাভাবিক ছিল না। কারণ বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়েছিল। নতুন ভাল কোম্পানি বাজারে না আসায় অনেক দুর্বল কোম্পানির শেয়ার তখন তরতর করে বেড়েছে। কিন্তু এখন বাজারে সেই পরিস্থিতি নেই। কারণ কথায় নয় বাজার চলবে নির্দিষ্ট গতিতে। মার্জিন ঋণ ৪০ পিই রেশিও সম্পন্ন কোম্পানিই পাবে। পিই রেশিও কমানো হবে না। বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, দীর্ঘ মন্দার পর পুঁজিবাজারে গতি ফিরে পেয়েছে। এখানে সূচক ও লেনদেনে কোনো সামঞ্জস্যহীনতা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সেদিকে নজর দিতে হবে। স্বল্প মুনাফার লোভে কেউ যাতে দায়িত্ব ভুলে না যায়- সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। ডিএসই চেয়ারম্যান বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান। অনুষ্ঠানে ডিএসইর দীর্ঘ পথচলা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান, সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ডিএসইর সাবেক সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু প্রমুখ। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ের প্রাক্তন সদস্য ও সার্বেক সদস্যের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। খায়রুল হোসেন বলেন, ২০১০ সালের ধসের পর পুঁজিবাজারে ব্যাপক সংস্কার হয়েছে। বাজার এখন একটি স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন আগামী ২০২০ সালে বাজার একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে। তার মতোই আমরাও এটি বিশ্বাস করি। একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহি ও টেকসই পুঁজিবাজার গঠনই আমাদের কাম্য। এর জন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বাজার মূলধন অনুযায়ী, জিডিপির ২১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। এই হার ৫০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দেশের বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে যদি বাজারকে ব্যবহার করা হয়, তবে সেদিন আর দূরে নয়।
×