ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিদায়ী বছরে দেশের খেলাধুলা

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

বিদায়ী বছরে দেশের খেলাধুলা

বাস্কেটবল ॥ ২৬ মার্চ। ‘স্বাধীনতা দিবস অনুর্ধ-১৮ (বালক) থ্রি অন থ্রি বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট’-এ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বিকেএসপি। ফাইনালে তারা ১৮-১৪ পয়েন্টে যোশে ফাইটসকে হারায়। ২৯ মার্চ। এই আসরের সিনিয়র বিভাগের ফাইনালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২১-১১ পয়েন্টে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০ ডিসেম্বর। জাতীয় বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ৭৭-৬৬ পয়েন্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। সাঁতার ॥ ১০ মার্চ। ‘ওয়ালটন বাংলা চ্যানেল সাঁতার’ অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজন মূলত বিখ্যাত ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করার প্রস্তুতি পর্ব। টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত ১৬.১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিযে প্রথম হন ভারতের সাঁতারু রিতু কেদিয়া। তিনি সময় নেন ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। এদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ভাগীরথী নদীতে দূরপাল্লার সাঁতারে ১৯ কি.মি দূরত্বের পুরুষদের ইভেন্টে বাংলাদেশের ফয়সাল আহমেদ প্রথম, পলাশ চৌধুরী দ্বিতীয়; ৮১ কি.মি দূরত্বের সাঁতারে মনিরুল ইসলাম শাহান দ্বিতীয় এবং ১৯ কি.মি মহিলা ইভেন্টে নাজমা খাতুন তৃতীয় স্থান লাভ করেন। ১৯ মে। শুরু হয় দেশের ৬৪ জেলা থেকে প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে ৬০ প্রতিভাবান সাঁতারুকে তুলে আনার মহাযজ্ঞ। দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণে যাদের গড়ে তোলা হবে ভবিষ্যতের জন্য। অনেকটা গতানুগতিক পরিকল্পনা মনে হলেও পুরো কার্যক্রমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সম্পৃক্ততা আশার আলো জাগিয়ে তোলে। ২১ অক্টোবর। শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে ‘সাউথ এশিয়ান এ্যাকুয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপ’ সাঁতারে বাংলাদেশের আরিফুল ইসলাম দুটি স্বর্ণপদক ও একটি তাম্রপদক জেতেন। ২৯ অক্টোবর। ধানম-ি সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের সুইমিংপুলে ‘আন্তঃজেলা বয়সভিত্তিক মহিলা সাঁতার প্রতিযোগিতা’য় ৪০ পয়েন্ট পেয়ে দলগত চ্যাম্পিয়ন হয় কুষ্টিয়া জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা। একই দিন ঢাকার মিরপুরের সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতা শেষ হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২৪ স্বর্ণ, ১৬ রৌপ্য এবং ১০ তাম্রপদক জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। ব্যক্তিগত পদক তালিকায় সবচেয়ে বেশি জেতেন নৌবাহিনীর নাজমা খাতুন (৬ স্বর্ণ)। পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ জেতেন সেনাবাহিনীর জুয়েল আহমেদ (৪টি)। সবচেয়ে বেশি ৬টি পদক জেতেন তিনজন : নাজমা খাতুন (নৌবাহিনী, ৬ স্বর্ণ), রোমানা আক্তার (সেনাবাহিনী, ৫ স্বর্ণ ও ১ রৌপ্য) এবং একই দলের নাঈমা আক্তার (৩ স্বর্ণ, ২ রৌপ্য ও ১ তাম্রপদক)। সবচেয়ে বেশি নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন সেনাবাহিনীর রোমানা আক্তার (৫টি)। আরচারি ॥ ৯ জুলাই। রাশিয়ার ইয়াকুশিয়ায় ‘চিলড্রেন অব এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস গেমস’-এ আরচারিতে স্বর্ণপদক লাভ করে বাংলাদেশ। আরচারিতে মিশ্র দলগত রিকার্ভ ইভেন্টে বাংলাদেশের হাকিম আহমেদ রুবেল ও রাদিয়া আক্তার শাপলা জুটি স্বর্ণপদক লাভ করে। শূটিং ॥ ১ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতীয় শূটিং প্রতিযোগিতার ২৮তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়। তারা ১১ স্বর্ণ, ১৩ রৌপ্য এবং ১১ তাম্রপদকসহ মোট ৩৫ পদক লাভ করে। ৬ ডিসেম্বর। ইরানের তেহরানে ‘এশিয়ান এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপ’-এ মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল দলগত ইভেন্টে বাংলাদেশের সৈয়দা আতকিয়া হাসান দিশা, মাহফুজা জান্নাত জুঁই এবং শারমিন আক্তার ১২২৭.৫ পয়েন্ট স্কোর করে রৌপ্যপদক জেতেন। এছাড়া ছেলেদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল (জুনিয়র) দলগত ইভেন্টে বাংলাদেশের রিসালাতুল ইসলাম, রাব্বি হাসান মুন্না এবং রবিউল ইসলাম ১৮৬০ পয়েন্ট স্কোর করে রৌপ্যপদক জেতেন। টেনিস ॥ ৮ সেপ্টেম্বর। ‘ওয়ালটন উন্মুক্ত টেনিস টুর্নামেন্ট’-এর প্রথম আসরে এতে দ্বি-মুকুট জেতেন পুরুষ এককে অমল রায় এবং মহিলা এককে আফরানা ইসলাম প্রীতি। ২ ডিসেম্বর। ‘বেঙ্গল প্লাস্টিকস এশিয়ান অনুর্ধ-১৪ সিরিজ টেনিস প্রতিযোগিতা’য় বালক এককে বাংলাদেশের জুয়েল রানা লাওসের ফাঠিকন কানিয়াফানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। ৯ ডিসেম্বর। বিকেএসপি এশিয়ান অনুর্ধ-১৪ সিরিজ টেনিস প্রতিযোগিতার দশম আসরে বালক এককের ফাইনালে বাংলাদেশের ফরিদুর রেজা সিঙ্গাপুরের লিমের কাছে হেরে রানারআপ হয়। ভারোত্তোলন ॥ গত ১৯-২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে অনুষ্ঠিত ইয়ুথ এ্যান্ড জুনিয়র ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, ইয়ুথ এ্যান্ড জুনিয়র কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপ এবং জুনিয়র ও সিনিয়র কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয় বাংলাদেশের ৪ ভারোত্তোলক এবং ৩ কর্মকর্তাসহ সাত সদস্যের বাংলাদেশ ভারোত্তোলন দল। কিন্তু অনুশীলনের ঘাটতি, পরিকল্পনার অভাব এবং বিস্ময়করভাবে কোন কোচ ছাড়াই এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বাংলাদেশ দল। ফলে ফলাফল যা হবার, তাই হয়। কোন পদক ছাড়াই দেশে ফিরতে হয় ভারোত্তোলন দলকে। ১৭ ডিসেম্বর। দোহায় অনুষ্ঠেয় কাতার ইন্টারন্যাশনাল কাপ ভারোত্তোলনে মেয়েদের ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণীতে স্বর্ণপদক জেতেন বাংলাদেশের মাবিয়া আক্তার সীমান্ত এবং ৫৩ কেজি ওজন শ্রেণীতে জহুরা আক্তার রেশমা। অথচ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের অনুমতি ছাড়া এ আসরে অংশ না নেয়ায় সীমান্তকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় ফেডারেশন! যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে তারা। (চলবে) রুমেল খান
×