ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনা প্রিন্টিংয়ের উৎপাদন বন্ধ

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৪ জানুয়ারি ২০১৭

খুলনা প্রিন্টিংয়ের উৎপাদন বন্ধ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটির উৎপাদন সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, এনবিআরের সহযোগিতা না করা, কাস্টম কর্তৃপক্ষের বন্ড লাইসেন্স বন্ধ ও চট্টগ্রাম বন্দরে উচ্চ আদালতের মিথ্যা মামলার কারণে কোম্পানির কাঁচামাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে কাঁচামাল দিনে দিনে গুণাগুণ হারিয়ে ফেলছে। কোম্পানিটি জানায়, উচ্চ আদালতের আদেশ সত্ত্বেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য রিলিজ করছে না ও বন্ড নবায়ন করছে না। এতে কোম্পানিটি বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এই অবস্থায় সাময়িকভাবে কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ ছাড়া কোন উপায় নেই। এর আগে নির্ধারিত সময়ে লভ্যাংশ বিতরণের প্রতিবেদন দাখিলে ব্যর্থ হওয়ায় ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমে যায় খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানি লিমিটেড (কেপিপিএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে কাগজ ও প্রিন্টিং খাতের কোম্পানিটির অবনমনের এই তথ্য দিয়ে জানান হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের বিষয়টি কার্যকর হয়। কোন কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার সময় ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত হয়। কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বা তার বেশি লভ্যাংশ দিলে পরবর্তী অর্থবছরের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত হয়। ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দিলে হয় ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত। আর নির্ধারিত সময়ে লভ্যাংশ দিতে না পারলে যায় ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে। গত ২০১৫ সালের ৩০ জুনে সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ গত বছরের ২৮ অক্টোবর শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করে। ২০১৬ অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীদের জন্য কোন লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করতে পারেনি। অর্থাৎ তালিকাভুক্তির পর থেকে মাত্র একবার কোম্পানিটি লভ্যাংশ প্রদান করেছিল। খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৪ সালে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ আইপিওয়ের জমা দেয়া প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে আইপিও অনুমোদন পেয়েছিল। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সাময়িকভাবে আইপিও স্থগিত করে দেয়। পরে আবার কমিশন এটির অনুমোদন দেয়। কোম্পানিটি আইপিওতে ৪ কোটি শেয়ার ছেড়ে অভিহিত মূল্যে মোট ৪০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। ৭৩ কোটি ৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির ৩৯.৭৬ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালক, ১২.৫১ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৪৭.৭৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে। সর্বশেষ প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ০.০৬ টাকা, যা আগে ছিল ০.১৬ টাকা।
×