ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

অভিবাসন আইন থাকলেও বাস্তবায়ন নেই

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২৭ নভেম্বর ২০১৬

অভিবাসন আইন থাকলেও বাস্তবায়ন নেই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে নদীপথে লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষ ভাগ্যের উন্নয়নে পাড়ি জমায় ইউরোপে। এদের অধিকাংশই দালালদের খপ্পরে পড়ে নির্মমভাবে প্রাণ হারান। সর্বস্বান্ত হয়ে দেশে ফেরেন অনেকেই। এতে নিঃস্ব পরিবারগুলো আরও নিঃস্ব হচ্ছে। অন্যদিকে বহির্বিশ্বের কাছে আমাদের প্রাণপ্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই লক্ষ্যে জনসচেতনতা তৈরির কোন বিকল্প নেই। শনিবার আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। ভোরের কাগজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আয়াল্যান্ড-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নাজিউর রহিম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল ও ইমিগ্রেশন ল এক্সপার্ট ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, ব্র্যাকের মিডিয়া স্পেশালিস্ট পারভেজ সিদ্দিকী, চেঞ্জ মেকার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও এ্যাডভোকেট তানভীর উল ইসলাম সিদ্দিকী, পর্তুগালে বাঙালী কাউন্সিলর রানা তসলিম উদ্দিন, ফ্রান্স- বাংলা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট টি এম রেজা, প্রাক্তন ব্যাংক কর্মকর্তা মহসীন মিয়া, আয়াল্যান্ড-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির অনারারি ডিরেক্টর রেজাউর রহমান, অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপধ্যায় ও এটিএন বাংলার নিউজ প্রেজেন্টার শায়লা হক। ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, অভিবাসনের আগে প্রত্যেকেরই উচিত, যে দেশে যাচ্ছেন সেই দেশের আইন সম্পর্কে জানা। অনেকে স্টুডেন্ট মাইগ্রেশনের নামে সেদেশে গিয়ে স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরাও কি নিরাপদ? বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় অভিবাসনের নামে দালালদের ক্ষপ্পরে পড়ছেন। অনেক দেশে এসব দালালদের মৃত্যুদ- দেয়ার আইন রয়েছে। আমাদেরে দেশে এসব দালালকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের আইন করলে ভাল হয়। পারভেজ সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে এসব অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। বর্তমানে প্রায় ১ কোটি মানুষ দেশের বাইরে মাইগ্রেশন করেছেন। সে হিসেবে দেশের প্রায় ৬ কোটি মানুষ অভিবাসনের উপর নির্ভরশীল। গত বছর ৫ লাখের বেশি মাইগ্রেশন করেছেন। এ বছর তা ৭ লাখ ছাড়াবে বলে আশা করা যায়। এসব অভিবাসীরা শুধু দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছে তাই না, সমাজ, সংস্কৃতিতেও বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে।
×