ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর চার দশক পূর্তি উৎসব শুরু কাল

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৪ নভেম্বর ২০১৬

ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর চার দশক পূর্তি উৎসব শুরু কাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘ভয় নেই কোন ভয়, জয় সাম্যের জয়’ সেøাগানে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর ৪০ বছর পূর্তি উৎসব শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। ঢাকার সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে বিকেল চারটায় দুই দিনব্যাপী উৎসব উদ্বোধন করবেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। উৎসবে থাকবে বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গুণীজন সংবর্ধনা। এ উপলক্ষে বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি ও উৎসব উদ্যাপন পর্ষদের আহ্বায়ক শিল্পী ফকির আলমগীর। এতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছও বক্তব্য রাখেন। গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির সিরাজের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক সমর বড়ুয়া, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী, কেন্দীয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক আবুল ফারাহ পলাশ ও ঋষিজ’র প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আলতাফ আলী হাসুর স্ত্রী মিনারা বেগম। আয়োজনে বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকবে একক ও দলীয় সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য। এছাড়া বিশ্বের সকল গণসঙ্গীত শিল্পীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা দুইদিনের এই আয়োজনে বাংলাদেশ ও ভারতের ১০ গুণীকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এর মধ্যে উদ্বোধনী দিন বিকেলে বাংলাদেশের সাত গুণীকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। উদ্বোধনী দিনে এদেশের যারা সংবর্ধনা পাচ্ছেন তারা হলেন- অর্থনীতিতে অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, নৃত্যকলায় আমানুল হক, নাট্য আন্দোলনে রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, আবৃত্তিতে আশরাফুল আলম, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং সঙ্গীতে ওস্তাদ শাহাদত হোসেন খান। আর উৎসবের সমাপনী দিন ২৬ নবেম্বর বিকেল চারটায় বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ নৃত্যকলায় বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের ড. মহুয়া মুখার্জি ও সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য অমিতাভ মুখোপাধ্যায় এবং গণসঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশের কামরুদ্দীন আফসারকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এ সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শিল্পকলায় ফরাসী ঔপন্যাসিক অঁন্দ্রে মালরো স্মরণ ॥ ফরাসী ঔপন্যাসিক অঁন্দ্রে মালরোর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বিশেষ স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বুধবার সকালে। ‘মালরোঁকে মনে পড়ে’ শীর্ষক ধারাবাহিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ঢাকার ফরাসী দূতাবাস ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ফরাসী দূতাবাসের উপপ্রধান জ্যঁ পিয়েহ প্যঁশে, ইতালীয় রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে বক্তারা মালরোর স্মৃতিচারণে বলেন, ১৯৭১ সালে মালরো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের জন্য দ্ব্যর্থহীন সমর্থন যুগিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে মালরো ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তাঁর অবদান ঘিরে সাজানো হয়েছিল অনুষ্ঠানমালাটি। একাত্তরের সেপ্টেম্বরে তাঁর বয়স হয়েছিল সত্তর। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় তিনি বাংলাদেশের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ব্রিগেড গড়তে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। অধ্যাপক ড. মাহমুদ শাহ কুরেশির বর্ণনায় অঁন্দ্রে মালরোর ১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ ভ্রমণ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। মালরোর ’লেসপোয়াহ্’ বইয়ের অনুবাদক ড. গুরুপদ চক্রবর্তীর আলাপচারিতাও ছিল অনুষ্ঠানে। এরপর অনূদিত ’আশা’ গ্রন্থটির নাট্যরূপ থেকে অসিম দাশের পরিচালনায় একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। এতে মালরোর বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যগুলো গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া মালরোকে নিয়ে একাডেমির লবিতে ’ড্রয়িং ফ্রিলি’ ও ’নবেম্বর ইন প্যারিস’ শীর্ষক দুটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
×