১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় গণহত্যার সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তিকে দেশে ফেরৎ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চেয়ে দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর লিওপোল্ড মুনিয়াকাজিকে রুয়ান্ডায় ফেরৎ পাঠানো হয়। খবর বিবিসির।
রুয়ান্ডায় জাতিগত সহিংসতা ও গণহত্যা চলাকালে মুনিয়াকাজি নিজেকে হুতু সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য কলাপাতা পরিধান করেছিলেন এবং তুতসি পরিবারগুলোর বাড়িতে রাতভর অভিযান চালানোয় সহায়তা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক অধ্যাপক মুনিয়াকাজি তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। ১৯৯৪ সালে মাত্র ১০০ দিনে প্রায় ৮ লাখ তুতসি ও উদারপন্থী হুতু সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যা করা হয়। ২০০৪ সালে মুনিয়াকাজি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তখন থেকেই রুয়ান্ডা তাকে গণহত্যা ও গণহত্যা সংঘটনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য দেশে ফেরৎ পাঠানোর দাবি জানিয়ে আসছে। গণহত্যার বিরুদ্ধে লড়াইরত রুয়ান্ডা সরকার-সমর্থিত জাতীয় কমিশন মুনিয়াকাজির বিরুদ্ধে হুতু আধাসামরিক বাহিনীকে তুতসিদের হত্যা করার নির্দেশদান ও ব্যক্তিগতভাবে একজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ এনেছে। দক্ষিণ-পূর্ব রুয়ান্ডার কিরওয়া অঞ্চলে উজিরাসেবুজা ফেলিসিয়েন কিরওয়া নামের ওই ব্যক্তিকে তিনি হত্যা করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। ১৯৯১ সালে মুনিয়াকাজি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। তাতে তুতসিদের স্কুল ও কর্মক্ষেত্রে মাত্র ১০ শতাংশ বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কমিশন তার বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগও এনেছে।