ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান গুলশানে

প্রকাশিত: ০৮:১৫, ২৭ জুলাই ২০১৬

রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান গুলশানে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পূর্ব ঘোষিত উচ্ছেদ অভিযানে নামবে সংস্থাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সংস্থাটির গুলশান এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত (অথরাইজড) অফিসার, পরিদর্শকসহ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের চলছে এ সংশ্লিষ্ট প্রস্তুতি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আদালত গুলশান ১ নম্বর গোল চক্করের ১ রোডে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান পরিচালনার খবর পেয়েই শুরু হয়েছে ছোটাছুটি। কোন প্রতিষ্ঠান তাৎক্ষণিকভাবে সাটার ফেলে বন্ধ করে দিচ্ছে। কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী দৌড়াদৌড়ি করছে। যে যার মতো পারেন প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে চলে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ সাদা কাগজে ‘উক্ত প্রতিষ্ঠানটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে’ লেখা সংবলিত পোস্টার দেয়ালে সেঁটে দিয়েছে। উদ্দেশ্য, এ লেখা দেখে ভ্রাম্যমাণ আদালত যেন বুঝতে পারেÑ এখানে বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটির কোন কার্যক্রম নেই। মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের ১ নম্বর চত্বরের ১ নং রোড থেকে ৫ নং রোড পর্যন্ত রাজউকের দ্বিতীয় দিনের মতো আবাসিক এলাকায় গড়ে তোলা অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনার বিরুদ্ধে চলা উচ্ছেদ অভিযানে এসব চিত্র দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেলেও কাউকেই ছাড় দেয়নি রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবৈধভাবে অনুমোদনহীন গড়ে তোলা এসব প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। সঙ্গে সঙ্গেই ভবনের জন্য বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এর বাইরে কিছু ভবনের সামনের অংশে নিয়মবহির্ভূতভাবে গড়ে তোলা র‌্যাম্প বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়। দ্বিতীয় দিনে সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মহাখালী জোনের পরিচালক খন্দকার ওলিউর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে মোট ১৪ টি ভবনের স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়ে ৭ হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, একটি বিউটি পার্লার ও ৩ বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়। গুলশান ১ নং চত্বরের ১ থেকে ৫ নং রোডের মধ্যে হোটেল দাওয়াত, রেস্টুরেন্ট মল্লিকা, ফুড প্যালেস, সিএফসিসহ জফরান নামের একটি রেস্তরাঁ সিলগালা করে দেয়া হয়। এছাড়া মিরেজ রেস্টুরেন্ট, কফি এ্যান্ড কোং, শর্মা রেস্টুরেন্টও সিলগালা করে দেয়। প্রতিটি রেস্টুরেন্টেরই বিদ্যুত, গ্যাস ও পানির লাইন কেটে দেয়া হয়। পরবর্তীতে এসব স্থাপনায় পুনরায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এর বাইরে ৩টি ভবনের সামনের ফুটপাথে যে অবৈধ র‌্যাম্প নির্মিত হয়েছে তাও ভেঙ্গে দিয়েছে রাজউক।
×