অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে আবারও ভুল তথ্য উপস্থাপনের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে দুই কোম্পানির প্রোফাইলে শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত তথ্যে বড় ধরনের গরমিলের ঘটনা ধরা পড়েছে। দুই কোম্পানির ক্ষেত্রেই শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত তথ্য ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। বাজার সংশ্লিষ্টদের অভিমত, শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত কোম্পানির তথ্য খুবই সংবেদনশীল। তাই কোন রকম সংখ্যার গরমিলের কারণে বাজারও প্রভাবিত করতে পারে। তাই এটির পেছনে কোন অসদুদ্দেশ্য রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা উচিত।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিনে ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোক্তা শেয়ার কমে যায় ডিএসইর ওয়েবসাইটে। যদিও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, কোম্পানি সঠিক তথ্যই উভয় স্টক একচেঞ্জে পাঠিয়েছিল। কিন্তু ডিএসইর পক্ষ থেকে তা প্রকাশ করা হয়নি। যদিও পরে সেটি ডিএসই হালনাগাদ করে দেয়। এর রেশ কাটতে কাটতেই এক সপ্তাহের মাথায় আবারও একই ঘটনা ঘটেছে। বস্ত্র খাতের নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিমটেক্সের জুন মাসের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে ডিএসই।
মঙ্গলবার হালনাগাদ করা তথ্যে শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত তথ্যে বলা হয়, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে ৩৪.২৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮.৪৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪২.২৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। তবে সব শেয়ার যোগ করলে দেখা যায়, মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ ৫ শতাংশ শেয়ার কোথাও নেই। তবে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের শেয়ার ঠিকই ১০০ শতাংশ রয়েছে। এ বিষয়ে কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আশীষ কুমার সাহা জানান, উভয় স্টক একচেঞ্জে কোম্পানি একই তথ্য পাঠিয়েছে।
কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কোন ভুল নেই। ডিএসইতে যোগ-বিয়োগে ভুল থাকতে পারে। আর চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে সঠিক তথ্যই প্রকাশ পাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা পর্যন্ত আগের হালনাগাদ করা তথ্যই প্রকাশ করা ছিল। তবে কোম্পানি থেকে ডিএসইতে যোগাযোগ করলে পরবর্তীতে ডিএসইতে সঠিক তথ্য প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে এখন ৪৭.২৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, সে তথ্যই এখন প্রকাশ পাচ্ছে। আগে সিএসইতে একই তথ্য প্রকাশ করেছিল। এদিকে ডিএসইর ওয়েবসাইটে তথ্য হালনাগাদ সংক্রান্ত ভুল বিষয়ে জানতে চাইলে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, শেয়ার ধারণ ও ইপিএস সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে ডিএসইকে আরও সচেতন হতে হবে। কারণ এসব তথ্যে সব সময়ই বাজার প্রভাবিত হয়। অনেক ক্ষেত্রে কারসাজির ঘটনাও ঘটে। তাই এসবের পেছনে কোন কারসাজি আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা উচিত কর্তৃপক্ষের।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: