ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে ১৪ দেশের অংশগ্রহণ চূড়ান্ত

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১১ জুলাই ২০১৬

এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে ১৪ দেশের অংশগ্রহণ চূড়ান্ত

মনোয়ার হোসেন ॥ এশিয়ার বৃহত্তম শিল্প উৎসব দ্বিবার্ষিকীয় এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ১৭তম প্রদর্শনীর কর্মকা- এগিয়ে চলছে। গঠিত হয়েছে এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর জতীয় কমিটি। দেশের শিল্পীরা সাড়া দিয়ে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করছেন। বিদেশী রাষ্ট্রের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৪টি দেশের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ চূড়ান্ত হয়েছে। প্রদর্শনীর কর্মকা- এগিয়ে নিতে একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় খোলা হয়েছে এশীয় দ্বিবার্ষিক চারুকলা সেল। এই সেলের মাধ্যমেই এশিয়ার বৃহত্তম প্রদর্শনীটির কর্মকা- পরিচালিত হচ্ছে। আগামী পয়লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ১৭তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার বিভিন্ন গ্যালারিতে মাসব্যাপী চলবে এই প্রদর্শনী। দেশ-বিদেশের শিল্পীদের সৃজনশীলতাকে ধারণ করে প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত হবে চিত্রকলা, ভাস্কর্য, ছাপচিত্র, আলোকচিত্র, স্থাপনাশিল্পসহ দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক শিল্পকর্ম। একাডেমি সূত্র জানায়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরী অঞ্চলের ৪৮টি দেশকে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি দেশের শিল্পীদের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ চূড়ান্ত হয়েছে। অংশগ্রহণ চূড়ান্তকারী দেশগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, চীন, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, নেপাল, ব্রুনাই, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, ফিলিপাইন, কুয়েত, ওমান, ফিলিস্তিন ও তুর্কমেনিস্তান। দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী প্রসঙ্গে শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক উৎপল কুমার দাস জনকণ্ঠকে বলেন, দেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে এই প্রদর্শনী। একইসঙ্গে শিল্পভিত্তিক বিশাল এই আয়োজনের মাধ্যমে প্রগতিশীল বাংলাদেশের পরিচয়টাও আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশিত হয়। দ্বিবার্ষিক এই শিল্প সম্মেলন দেশের চিত্রশিল্পীদের জন্য সমকালীন সমাজ, সাংস্কৃতিক ও নান্দনিক মূল্যবোধ, ইতিহাস, অর্থনীতি ও দৈনন্দিন জীবনকে মেলে ধারার একটি প্ল্যাটফর্ম। এছাড়া পৃথিবীর যাবতীয় অনিশ্চয়তার মধ্যেও অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া তৈরি করে এই প্রদর্শনী। এবারের ১৭তম প্রদর্শনীর লক্ষ্য হলো চিত্রকলার বিষয়-আশয়ের উপাদানসমূহ বিশেষ করে যোগাযোগ প্রযুক্তি, দৃশ্যকল্পের এবং নগরায়নের বিস্তার সম্পর্কে সবাইকে জানানো এবং এই বিষয়টি তুলে ধরা যে, এসবের মধ্য দিয়ে শুধুমাত্র ভৌগোলিক সীমারেখা অতিক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতিতেও বিপুল পরিবর্তন ঘটছে। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত দেশের শিল্পীরা এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে নিবন্ধন ফরম পাঠাতে পারবেন। অনলাইনে নিবন্ধন করা যাবে িি.িধংরধহধৎঃনরবহহধষ. ড়ৎম.নফ এই ঠিকানায়। নিবন্ধন সম্পন্ন করায় অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের একটি পিন কোড ও আনুষঙ্গিক বিভিন্ন তথ্য একটি স্বয়ংক্রিয় ই-মেইলে জানানো হবে। নির্বাচন কমিটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর অংশগ্রহণকারীদের সর্বশেষ অনলাইন নিবন্ধনের জন্য অনুমোদনসূচক মেইল পাঠানো হবে। প্রদর্শনীর শিল্পকর্ম সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট তথ্য পাঠাতে হবে ৩১ আগস্টের মধ্যে। আর মূল শিল্পকর্ম জমা দিতে হবে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। শিল্পীদের শিল্পকর্মের মূল ভাবনাসহ বিশদ বিবরণ জমা দিতে হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শিল্পকর্মের শিরোনামের তথ্য, মাধ্যম, আকৃতি, ব্যবহৃত উপাদান, সৃষ্টির সময়কাল ইতাদি। বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের পাঁচ সদস্যের বিচারকম-লী প্রদর্শনীর শিল্পকর্ম নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন। এই পাঁচ বিচারকই প্রদর্শনীর তিনটি গ্র্যান্ড প্রাইজ ও ছয়টি অনারেবল মেনশন পুরস্কার বিজয়ীর শিল্পকর্ম নির্বাচন করবেন। দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের বয়স অবশ্যই ২২ বা তদূর্ধ হতে হবে এবং কমপক্ষে দুটি জাতীয় প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ইতোপূর্বে শিল্পকলা একাডেমির প্রদর্শিত শিল্পকর্ম এই প্রদর্শনীর জন গ্রহণযোগ্য হবে না। শিল্পীর শিল্পকর্মটি অবশ্যই ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারির পর সৃষ্ট হতে হবে। দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলার প্রদর্শনীর জাতীয় কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সদস্য সচিবের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
×