ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে সৈয়দপুর বিমানবন্দর

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৫ জুন ২০১৬

নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে সৈয়দপুর বিমানবন্দর

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ প্রবাদ বাক্য রয়েছে ওপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে। অভিযোগ উঠেছে বিমানবন্দরের পশ্চিম প্রান্তের সীমানা প্রাচীর ঘিরে সুরঙ্গপথ ও নিচু প্রাচীর টপটিয়ে বহিরাগ মানুষজনসহ গরু, ছাগল কুকুর বিচরণ করছে। বিভিন্ন সূত্র জানায়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ সকল বিমানবন্দরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সে কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরেও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা), যাত্রী তল্লাশির জন্য মেটাল ডিটেক্টর, স্ক্যানার, পুলিশ, আনসার, এভিয়েশন কর্মী ও নিরাপত্তা টহল। কর্তৃপক্ষের দাবি, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে সৈয়দপুর বিমানবন্দর। উত্তরের সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি এখন যাত্রীদের ভিড়ে ঠাসা। প্রতিদিন সকাল দুপুর বিকেলে ৬টি বিমান সৈয়দপুর-ঢাকা-সৈয়দপুর আকাশ পথে চলাচল করছে। বিমাবন্দরটি সরকারের পক্ষে অচিরেই আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রূপান্তর করার প্রস্তাবনায় রয়েছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, সৈয়দপুর বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের সামনে কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি থাকলেও বিমানবন্দরের অভ্যন্তরের রানওয়েতে নিরাপত্তা বিধানে ভ্রƒক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের। নিচু সীমানা প্রাচীর, একাধিক ফাঁক, সীমানা প্রাচীরের নিচে সুড়ঙ্গপথ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাধাগ্রস্ত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্র মতে, বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরের পশ্চিম অংশে নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে এমন অসংখ্য ফাঁক ও সুড়ঙ্গপথ কে বা কারা তৈরি করেছে। ওইসব সুড়ঙ্গপথ ব্যবহার করে কুকুর, গরু-ছাগল ও বহিরাগত লোকজন অনায়াসে রানওয়েতে ঢুকে পড়ছে। পশ্চিম দিকের সীমানা প্রাচীরটি তুলনামূলক নিচু হওয়ায় রানওয়েসহ ‘বে’ (বিমান দাঁড়ানোর নির্ধারিত স্থান) পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যায়। বিমান ওঠা-নামার সময় প্রাচীরের ওপর অনেক বহিরাগত ব্যক্তি বসে থাকে। সীমানা প্রাচীর লাগোয়া প্রত্যক বাড়িতে বাঁশের সিঁড়ি (মই) রয়েছে। যা বেয়ে তারা রানওয়েতে প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। টার্মিনাল ভবনের উত্তর গেট দিয়ে রানওয়েতে ঢুকে পড়েন বিমানবন্দর এলাকার বাসিন্দারা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা তাই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। বিমানবন্দরের পশ্চিম প্রান্তের সীমানা প্রাচীরের ভাঙ্গা এলাকা থেকেও সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে বিমান অবতরের একটি চিত্র। বিমানবন্দরের একটি সূত্র মতে, রানওয়েতে অবাঞ্ছিত জনসমাগম কিংবা গরু-ছাগল বিচরণ করলে বিমানের উড্ডয়ন, অবতরণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। তবে সকল বিষয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক শাহিন আহম্মেদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন বিমানবন্দরে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, স্ক্যানিং, পরিচয়পত্র ও গাড়ি টহলের মাধ্যমে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়। তবে তিনি পেছনের সীমানা প্রাচীর নিচের সুড়ঙ্গপথের কথা অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, বহিরাগত কোন লোকজন বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন না।
×