ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আরও ৬ কারখানার সঙ্গে ব্যবসা করবে না এ্যাকর্ড

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২৫ মে ২০১৬

আরও ৬ কারখানার সঙ্গে ব্যবসা করবে না এ্যাকর্ড

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা না করায় নতুন করে আরও ৬টি পোশাক কারখানার সঙ্গে ব্যবসা না করার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কারখানা পরিদর্শন জোট এ্যাকর্ড। ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করায় এসব কারখানা এখন থেকে এ্যাকর্ডভুক্ত ২২০টি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কোন ধরনের ব্যবসা করতে পারবে না। জানা গেছে, ভবনের কাঠামো সংক্রান্ত পরীক্ষার ফলাফলে মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং কর্মপরিবেশের নিরাপত্তা উন্নয়নে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়েছে এসব কারখানার বিরুদ্ধে। কারখানাগুলো হলোÑ রাজধানীর মহাখালীর অল ওয়েদার ফ্যাশনস এবং এমইউ ফ্যাশনস। কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ উন্নয়নে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়েছে এ দুই কারখানার বিরুদ্ধে। অপর চার কারখানা চট্টগ্রামের স্মার্ট জিনস, স্মার্ট জ্যাকেটস (বিডি) লিমিটেড, সেহান স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ও আর বি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ভবনের কাঠামো সংক্রান্ত পরীক্ষায় মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে এ চার কারখানার বিরুদ্ধে। এ্যাকর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়, জোটের ২১ ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত কারখানাগুলোর সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে। এ কারখানাগুলো এ্যাকর্ডভুক্ত ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার যোগ্যতা হারাল। তবে জোটের অন্যান্য নিরাপদ কারখানায় এসব কারখানার বেকার শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। এর আগে ৩৬টি কারখানার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এ্যাকর্ড। প্রাথমিক পরিদর্শনে চিহ্নিত ত্রুটি সংশোধনে পিছিয়ে থাকা এবং এ কার্যক্রমে এ্যাকর্ড কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না করার অভিযোগ ছিল ওই কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে। নতুন করে ৬ কারখানা যুক্ত হওয়ায় এ সংখ্যা এখন ৪২টিতে দাঁড়াল। অপরদিকে উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কারখানা পরিদর্শন জোট এ্যালায়েন্স প্রায় একই ধরনের অভিযোগে ৬০টি কারখানার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ওই সব কারখানা সংশ্লিষ্ট বায়ারদের কোন অর্ডার পাবে না। মোবাইল ফোন কারখানা স্থাপনে বিদ্যমান শুল্ক কাঠামো পরিবর্তন জরুরী অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মোবাইল ফোনসেট কারখানা স্থাপন করলেও বাংলাদেশে এখনও উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেই। বছরে আড়াই থেকে তিন কোটি মোবাইল ফোনসেট বিক্রি হলেও বাংলাদেশ পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। এর প্রায় সবই আসে চীন থেকে। অর্থনীতিবিদ, উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মতে, বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট কারখানা স্থাপনের এখনই সময়। এজন্য সবার আগে প্রয়োজন সঠিক শুল্ক ও কর নীতিমালা প্রণয়ন। তারা সরকার তথা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে এ বিষয়ে অতি দ্রুত উদ্যোগ নিতে বলেছেন। বিদ্যমান শুল্ক কাঠামোতে ফিনিশড বা সম্পূর্ণ তৈরি মোবাইল হ্যান্ডসেট আদমানিতে ভ্যাট, কাস্টমস, এআইটিসহ শুল্ক দিতে হয় সাকল্যে ২৩.৭৫ শতাংশ। অথচ হ্যান্ডসেটের মৌলিক কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক দিতে হয় সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ। প্রয়োজন হয় প্রায় ৯০টি কাঁচামাল। এর মধ্যে ব্যাটারিতে ৫৩.৩৫ শতাংশ, পিসিবি (প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড) বা মাদারবোর্ডে ৩১.৫০ শতাংশ, এলসিডি ডিভাইসে ৩১.৫ শতাংশ, এয়ারফোনের ওপর ৫৩.৩৫ শতাংশ এবং স্ক্র ভয়েড স্টিকার আমদানিতে প্রায় ৯৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। অর্থাৎ পরিপূর্ণ মোবাইল ফোন আমদানির তুলনায় কাঁচামাল এবং যন্ত্রাংশ আমদানি করলে শুল্ক দিতে হয় প্রায় দ্বিগুণ।
×