ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তৌফিক অপু

সামার টপস

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

সামার টপস

সকাল সকাল অফিসে যাওয়ার জন্য বের হতেই ঘেমে নেয়ে যেন একাকার। প্রচন্ড গরমে হাসফাস অবস্থা। শুধু অফিস নয় স্কুল কলেজ সব জায়গাতেই একই অবস্থা। যেটার উদ্দেশ্যেই বের হননা কেন গরম যেন পিছু ছাড়বে না। গ্রীষ্মকালের রূপটাই বুঝি এমন। চারদিকে বিরাজ করছে তীব্র গরম। আর এ সময়টাতে চলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষার প্রস্তুতি। চলা ফেরা সব কিছুতেই চলে সাবধানতা। পরিবর্তনের এ তালিকায় পোশাক এবং খাওয়া দাওয়া অন্যতম। আমাদের দেশের মানুষ এখন অনেক বেশি ফ্যাশনসচেতন। আগেকার সনাতনী ধারণাকে পেছনে ফেলে অনেক দূর এগিয়ে গেছে বর্তমান ফ্যাশন ট্রেন্ড। অর্থাৎ সময়োপযোগী আরামদায়ক পোশাকের দিকে নজর সবার। যে কারণে পোশাকের ব্যাপারে সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত। পোশাক যদি আরামদায়ক না হয় তাহলে ঘামে ভিজে একাকার হয়ে যাবার উপক্রম। সৃষ্টি হয় অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির। অতএব, আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পোশাক না পরলে অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। যে কারণে ঋতুভিত্তিক পোশাক মানুষের এখন প্রথম পছন্দ। ফ্যাশন হাউসগুলো এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। একটা সময় ছিল যখন এদেশের মানুষ উৎসব কিংবা বড় কোন অনুষ্ঠান ছাড়া ফ্যাশন হাউসগুলোতে ভিড় জমাত না। তবে প্রেক্ষাপট অনেকটাই বদলে গেছে। বাঙালী এখন ফ্যাশন সচেতন জাতি হিসেবে স্বীকৃত। ঋতুভিত্তিক পোশাক এখন ফ্যাশন ট্রেন্ডের পরিচিত রূপ। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের ফ্যাশন ট্রেন্ড। যা সত্যিকার অর্থেই ইতিবাচক দিক। ইন্টারনেটের বদৌলতে প্রতিদিন বিশ্বে ফ্যাশন জগতে কি কি পরিবর্তন হচ্ছে তা সহজেই জানা যায়। তাছাড়া কবে কোথায় কোন কোন ফ্যাশন হাউসের ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হবে তার অগ্রিম খবর জেনে নেয়া যায়। যার ফলে ফ্যাশন ট্রেন্ডের হাল হকিকত সম্পর্কে সহজেই পরিচিত হওয়া যায়। যে কারণে আমাদের দেশীয় পোশাকের বাজারের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশের ফ্যাশনও যোগ হয়েছে আমাদের ফ্যাশন ট্রেন্ডে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে শুরু করে পশ্চিমা পোশাকের প্যাটার্ন এখন আমাদের দেশে নিয়মিত চোখে পড়ে। একটা সময় পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক উগ্র বলে আখ্যায়িত করা হতো। কিন্তু কালের পরিক্রমায় তা নিত্য ব্যবহারে দাঁড়িয়েছে। যেমন হাতাকাটা বা সিøভলেস ড্রেস আগে আমাদের সমাজে তেমনভাবে স্বীকৃত ছিল না। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে তা আজ ফ্যাশন ট্রেন্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান ফ্যাশনসচেতন তরুণীদের কাছে টপস বেশ জনপ্রিয়। খুব বেশিদিন হয়নি এ ড্রেসটি ফ্যাশন ট্রেন্ডে যোগ হয়েছে তথাপি অল্প সময়ের মধ্যে তা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। একটা সময় টপস তেমন একটা চোখে পড়ত না। অথচ বর্তমানে প্রায় প্রতিটি ফ্যাশন হাউসে টপস রয়েছে চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে এই গরমে বলাই বাহুল্য। যদিও পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক এগুলো তারপরেও এখন তা দেশীয় ফ্যাশন ট্রেন্ডের অংশ হয়ে গেছে। শুরুতে পশ্চিমা ধাঁচটা অনুসরণ করা হলেও এখন তা দেশীয় ডিজাইনারদের অন্যতম ব্যস্ততার কারণ। অর্থাৎ আমাদের দেশের আবহাওয়া উপযোগী কাপড় সিলেক্ট এবং ডিজাইন করা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ডিজাইনাররা। এ প্রসঙ্গে নিমা আহমেদ জানান, একটা সময় হুবহু পশ্চিমা ডিজাইন ফলো করা হতো। কিন্তু হিসেব করে দেখা গেছে, সব ধরনের ডিজাইন আমাদের দেশে মানানসই নয়। তাছাড়া কাপড় সিলেকশন বড় একটা ব্যাপার। এসব বিষয় চিন্তা করে দেশীয় কাপড় এবং ডিজাইনের সমন্বয় ঘটানোতে রেজাল্টও ভাল পাওয়া গেছে। দেখা গেছে ক্রেতারা হুবহু পশ্চিমা ড্রেসের ডিজাইনের চেয়ে আমাদের ডিজাইনকৃত পোশাকের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। কারণ আমরা দেশীয় আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাপড় সিলেক্ট করে থাকে। শুধু দেখতে ভাল হলেই তো হবে না তা পড়তেও আরামদায়ক হতে হবে। টপস এখন কটন, এন্ডি কটন, সিল্ক এবং এন্ডি সিল্ক এর মতো কাপড় দিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে। ইদানীং টি-শার্টের ফেব্রিক দিয়েও টপস তৈরি হচ্ছে যা খুবই কম্ফোর্টেবল। ডিজাইনেও রাখা হয়েছে ভ্যারিয়েশন। সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে পশ্চিমা এবং দেশীয় ডিজাইনের। প্রায় প্রতিটি ফ্যাশন হাউসেই দেখা মিলবে টপসের। এর মধ্যে আড়ং, দেশী দশ, এক্সট্যাসি, রেক্স, মনসুন রেইন, মানজা, আর্টিস্টি, ইয়েলো, ওয়েজেসসহ আরও অনেক শো-রুমে। সিøভলেস, ফুলহাতা কিংবা হাফহাতা টপস রয়েছে এখন। গরম থেকে প্রশান্তি, ইজি মুভমেন্ট এবং ফ্যাশন ট্রেন্ডের আধুনিকতার ছোঁয়া সব মিলিয়ে টপস বর্তমান তরুণীদের দারুণ পছন্দের। প্যাটার্ন এবং ডিজাইন ভেদে ড্রেসগুলোর মূল্য পড়বে ১২৫০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা। ছবি : আরিফ আহমেদ মডেল : পপি ও মেহজাবিন
×