ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মোষের শিং দিয়ে তৈরি বাঁশি ফুঁকে ডাকা হয়

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ২৩ এপ্রিল ২০১৬

মোষের শিং দিয়ে তৈরি বাঁশি ফুঁকে ডাকা হয়

বিল-জলাশয় পানি স্বল্পতায় গাইবান্ধার গ্রামাঞ্চলে এখন চলছে মাছ ধরার মৌসুম। সেই সাথে বিল-জলাশয়তে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী আর আনন্দময় ‘বৈদ’ নামে দলবদ্ধ মাছ শিকার। প্রাচীনকাল থেকে এ অঞ্চলে বৈদ নামের এই মাছ ধরা চলে আসছে। বৈদ নামের প্রকৃত অর্থ কি, জানা না গেলেও এর বিশেষ শিংগার ফুৎকার আর দলবদ্ধ মাছ ধরার আঞ্চলিক ভাষার সাথে এই নামের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সাধারণত চৈত্র মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে জ্যৈষ্ঠ মাস অবধি যখন বড় বড় বিল, নদী ও খালে পানি কম থাকে তখনি মাছ ধরার প্রকৃত মৌসুম। জেলার ৬টি উপজেলাতে রয়েছে পৃথক পৃথক সৌখিন মাছ শিকারীর দল। বৈদ দলের আলোচনার ভিত্তিতে মাছ শিকারের নির্দিষ্ট জলাশয়, তারিখ, সময়, যাত্রার স্থান নির্ধারণ করে গ্রামের হাট-বাজারে ঢোল-সহরত করে তা জানিয়ে দেয়া হয়। এই বৈদের দলের নেতার কাছে থাকে মোষের শিং দিয়ে তৈরি বড় বাঁশি। যাকে বলা হয় শিংগা। নির্ধারিত স্থানে যথাসময়ে শিংগায় ফুৎকার দেয়া হয় বার বার। আর শিংগার আহ্বানে নিজ নিজ পছন্দমতো মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম নিয়ে সমবেত হতে থাকে শিকারীরা। সাধারণত পূর্ব নির্ধারিত বিল-জলাশয়ে দলবদ্ধ হয়ে মাছ শিকার চলে দিনভর। Ñআবু জাফর সাবু, গাইবান্ধা থেকে
×