ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

একুশ শতক ॥ বাংলার নববর্ষের দিগন্ত অনেক বড়

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১৭ এপ্রিল ২০১৬

একুশ শতক ॥ বাংলার নববর্ষের দিগন্ত অনেক বড়

প্রবল প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও বাঙালী তার বর্ষবরণ উৎসব উদযাপন করছে। একদল ধর্মান্ধ, মূর্খ ও পাকিস্তানপন্থী লোকের প্রবল বিরোধিতা, ফতোয়া, বৈশাখের রৌদ্রতাপ এবং প্রবল নিরাপত্তার নামে প্রায় জরুরী অবস্থা সৃষ্টি করার পরও দেশের সকল স্থানেই নতুন বাংলা সনকে আমরা বরণ করতে পেরেছি। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মঙ্গল শোভাযাত্রা, নাচ-গান-মেলা মিলিয়ে বাংলার ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে আমরা পালন করলাম সার্বজনীন বর্ষবরণ। আমাদের দেশের একটি পত্রিকায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীদের কিছু ছবি দেখেছি, যাতে তারা নতুন বছর পালন করেছে বলে প্রতীকী দৃশ্য বলে মনে হয়। তবে একজন ভারতীয় বাঙালী সম্ভবত যথার্থই বলেছেন, বৈশাখ দেখতে হলে বাঙালীকে বাংলাদেশেই আসতে হবে। কিন্তু আমরা কি এটি জানি যে, এই সময়ে বছরের সূচনা কেবল বাংলাতেই হয় না, বাংলার বর্ষবরণের দিগন্তটা অনেক বড়। দুনিয়ায় অনেক নতুন বছর উদযাপিত হয়। দুনিয়ার প্রায় সকল প্রান্তেই প্রচলন আছে এসব উৎসবের। তবে সাধারণভাবে আমরা অন্তত চারটি বড় ধরনের নববর্ষকে জানি। আমাদের জানামতে ১ জানুয়ারি ইংরেজী নববর্ষ, ২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মাঝে যে চাঁদ ওঠে তার প্রথম দিনে চীনা নববর্ষ, ১ মহররম আরবী নববর্ষ এবং ১ বৈশাখ বাঙালীর নববর্ষ। আমরা জানি চীনা জনগোষ্ঠী চীনা নববর্ষ পালন করে। ইংরেজী নববর্ষ প্রায় সারা দুনিয়াতেই পালিত হয়। কারণ এটি সারা দুনিয়ার সকলের পঞ্জিকা। আরবী বছরটা আরব দেশ ও মুসলমানরা পালন করে থাকে। তবে বাংলা নববর্ষ বাঙালীরা উদযাপন করে। বাংলা একাডেমির পঞ্জিকা সংস্কারের ফলে একই দিনে এই দিনটি পালিত হয় না। বাংলাদেশের মানুষও কেউ সনাতন পঞ্জিকা মানেন, কেউ একাডেমির পঞ্জিকা মানেন। সরকারি ছুটিটা একাডেমির পঞ্জিকা অনুসারে হয় বলেই সেটি আমাদের নতুন বছরের প্রথম দিন। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় বৈশাখের প্রথম দিনটি সনাতনী পঞ্জিকা অনুসারে হয়ে থাকে। তবে এপ্রিলের ১৩ থেকে ১৫ তারিখের মাঝে কেবল বাঙালীরাই নতুন বছরকে স্বাগত জানায় না। যদি হিসাব করে দেখা হয় তবে ইংরেজী নতুন বছর সম্ভবত দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষ পালন করে। এরপর চীনা জনগোষ্ঠীকে গুনতে হবে, যদিও চীনা প্রভাবিত অঞ্চল ছাড়া সারা দুনিয়ায় এর প্রভাব খুবই সীমিত। আমি নিজে মনে করি বাংলা নববর্ষই তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এককভাবে ৩৫ কোটির বেশি বাঙালী দুনিয়াতে রয়েছে। এর বাইরে রয়েছে ভারতের বিশাল অংশ। সেই পাঞ্জাব থেকে আসাম অবধি ভারতের প্রায় পুরোটাই এই সময়ে নতুন বছর উদযাপন করে। এই সময়ে নতুন বছর উদযাপন করে পাকিস্তানের পাঞ্জাবী ও বেলুচরাও। এর সঙ্গে আছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জাতিগুলো। আমাদের অবশ্য দোষ নেই যে, এসব খবর আমরা জানি না। কারণ এই যে ইংরেজী নতুন বছর মাতাল হাওয়ার তালে বাংলাদেশে পালিত হয় তারা কি সেই নতুন বছরটির ইতিহাস জানে? স্মার্টফোন বা ট্যাবে যদি কোনভাবে উইকিপিডিয়ায় যাওয়া যায় তবেই হাতের কাছে ইতিহাসটা চলে আসে। কিন্তু ফেসবুকে আমরা যত সময় দিই জ্ঞান খুঁজতে আমরা তত সময় দিই না বলে বিদেশীদেরটা তো দূরের কথা নিজেরটারও খবর রাখি না। আমি বরাবরই লেখালেখির জন্য গুগলকে ভাল বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করি। যখনই কোন তথ্যের দরকার হয় তখন আমি গুগলের দুয়ারে হাজির হই। শুধু তাই নয়, থাইল্যান্ড, লাওস ও ভারতে বর্ষবরণের খবরগুলো আমাকে সচেতন করেছে। আমি এটিও লক্ষ্য করেছি যে, কোন কোন দেশে এই বর্ষবরণকে ট্যুরিজমের একটি বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। সম্ভবত থাইল্যান্ড এর শীর্ষে আছে। আগেই বলেছি চীনারা জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝে চাঁদের হিসাবে নতুন বছর উদযাপন করে। কোরীয় ও ভিয়েতনামীরাও চাঁদের হিসাবে নতুন বছর সেই সময়টাতেই পালন করে। তিব্বতীরা নতুন বছর পালন করে মার্চে। চীনা নতুন বছরের হিসাবটা আমাদের দেশের সেই ব্যবসায়ীরা খুব ভাল মনে রাখেন। কারণ তখন বেশ বড় সময় জুড়ে চীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকে। পূর্ব ভারতের মিজোরা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে নতুন বছর উদযাপন করে। ইরানী নওরোজ পালিত হয় মার্চে। এই মাসে ভারতের অনেক জাতি নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। অন্ধ্র, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক, কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র এর মাঝে রয়েছে। তবে এসব রাষ্ট্রের অনেকে আমাদের নববর্ষ উদযাপনের সঙ্গে সময় মিলিয়ে নতুন বছর উদযাপন করে। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, পাকিস্তান ও ভারতের বালুচ হিন্দুরা বাংলা নববর্ষের সময়কালেই বেগে রোচ নামক তাদের বর্ষবরণ উৎসব পালন করে। তামিলদের পুথান্ডু উৎসব পালিত হয় এই সময়ে। শ্রীলঙ্কাতেও তামিলরা এই উৎসব পালন করে। পাঞ্জাবীরা বৈশাখী উৎসবই পালন করে এবং সেটি তারা পালন করে ১৪ এপ্রিল। নেপালীদের বৈশাখ ১২ থেকে ১৫ এপ্রিলের মাঝে পালিত হয়। হিমাচল প্রদেশের ডগ্রিরা চৈতী উৎসব নামে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। মৈথিলীদের বৈশা ১২ থেকে ১৫ এপ্রিলের মাঝে পালিত হয়। আসামের রঙালি বিহু পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। উদিয়া নামক নববর্ষ অনুষ্ঠান উড়ীয়রা পালন করে ১৪ এপ্রিল। মণিপুরীরা ছিরোবা উৎসব পালন করে ১৪ এপ্রিল। কেরালায় বিষু নামক বর্ষবরণ অনুষ্ঠান পালিত হয় এই সময়ে। কর্নাটকের যে অংশে তুলু ভাষাভাষীরা থাকে সেখানে এই সময়ে নতুন বছর পালিত হয়। মহারাষ্ট্রেও অনেকে এই সময়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান। আমরা বাঙালীরা নিজেদের মাঝে এতই মগ্ন থাকি যে, আমাদের দেশেরই পাহাড়ীরা নতুন বছর উদযাপন করতে গিয়ে যেসব অনুষ্ঠান করে তারও তেমন কোন খবর রাখি না। সম্প্রতি একটি প্রবণতা দেখা যায় যে, বাঙালীরা ঘুরে বেড়াতে এই সময়ে পাহাড়ে যায় এবং পাহাড়ীদের উৎসব দেখে মুগ্ধ হয়। এবার ১৬ সালে ঢাকায় সরকারীভাবে ওদের একটি অনুষ্ঠান উদযাপিত হলো। ঠিক একইভাবে পানি উৎসব নামে নতুন বছরকে বরণ করা হয় দেশে দেশে। ১৩-১৫ এপ্রিল সময়কালে পানি খেলায় নতুন বছর উদযাপন করা হয় থাইল্যান্ডে। এর নাম সঙ্গক্রান। মিয়ানমারে এর নাম থিনগিয়ান। লাওসে এর নাম পি মাই লাও। কম্বোডিয়ায় চাও চাম মে নামে এই উৎসবটি পালিত হয়। কেউ কেউ এটা জানেন যে, এটি আসলে ফসলি সন। ফসল কাটার উৎসবকে কেন্দ্র করে আফগান সীমান্ত থেকে থাইল্যান্ড অবধি বিস্তীর্ণ জনপদের মানুষ আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে তার কৃষিনির্ভর জীবনকে রাঙিয়ে তুলে আসছে। দিনে দিনে এর রূপান্তরও হচ্ছে। আমরা যারা সম্রাট আকবর কর্তৃক বাংলা সনের প্রবর্তনের গল্পটা বিশ্বাস করি এবং হিজরী সন থেকে বাংলার সূচনা হিসাব করি তাদের কাছে এই বিষয়গুলো স্পষ্ট করতে হবে যে, মিয়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়া বা থাইল্যান্ডে বৈশাখও কি সম্রাট আকবরই প্রচলন করেছিলেন? আমি নিজে সন নিয়ে এতটা পড়াশোনা করিনি। ফলে আমি জানি না বিষয়টি কাকতালীয়, নাকি সম্রাট আকবর দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় নতুন বছরকেই গ্রহণ করেছিলেন। আমরাও সম্ভবত দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংস্কৃতির অংশকে স্বীকার করার চাইতে মুসলমান সম্রাট আকবর এবং মুসলমানদের হিজরী সনকে মাহাত্ম্য দিতেই পছন্দ করেছি। কিন্তু আমার নিজের ধারণা কৃষিনির্ভর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি সমন্বিত সংস্কৃতির নামই বৈশাখ, যা কোথাও কোথাও অন্য নামেও আখ্যায়িত হয়। তবে ইতিহাস যাই হোক না কেন, আমাদের নতুন বছর যে কৃষিভিত্তিক সমাজ থেকেই জন্ম নিয়েছে সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। খুব সঙ্গত কারণেই নতুন বছরের সংস্কৃতি মানে কৃষি সমাজের সংস্কৃতি। কৃষকের জীবনাচার, পোশাক-গান-বাজনা-নৃত্য, তার অর্থনীতি, তার ধর্ম সব কিছুর সঙ্গেই এর সম্পর্ক রয়েছে। যারা গ্রামের বৈশাখী মেলা দেখেননি তারা নতুন বছরের শেকড়টা চিনতেই পারবেন না। সমাজের অর্থনীতিটার বিশেষ সম্পর্ক খুব গাঢ় ছিল বলে এই উপলক্ষে মেলার আয়োজনটা বিশেষভাবে যুক্ত। আমি আমার শৈশবের স্মৃতি থেকে নতুন বছরের উদযাপনকে কৃষিজ খাদ্য যেমন দুগ্ধজাত মিষ্টি, উখড়া, জিলাপি, লাড্ডু, শন পাপড়ি, কদমা, বাতাসা, মুরলি ইত্যাদি দেখেছি, তেমনি করে ফল হিসেবে আখ, বেল, তরমুজ, বাঙ্গিকে দেখেছি। ঢোল, চরকা, বেলুন, বাঁশি এবং মাটির পুতুল খেলনা হিসেবে জনপ্রিয় থাকতে দেখেছি। বস্তুত গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবনে নতুন বছর মানে ছিল বৈশাখী মেলা এবং হালখাতা। এলাকার হাট-বাজারে চৈত্রের শেষ দিনে সকল দেনা আদায় ও নতুন লাল খাতার উদ্বোধন করে নতুন বছরটি উদযাপিত হতো। খুব সঙ্গত কারণেই মহাজন তার পাওনা আদায় করে আগের বছরের হিসাবটা বন্ধ করে নতুন হিসাবের খাতা খুলতেন। জলপান বা মিষ্টিমুখ করাটাও তাই অতি সাধারণ বিষয় ছিল। ইদানীং পান্তা-ইলিশ নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। কেউ বলছেন এক দিন পান্তাভাত ইলিশ মাছ দিয়ে খেলেই বাঙালী হওয়া যায় না। অন্যরা মনে করেন বছরের অন্য দিন সময় কই, এক দিনেই কৃষকের পান্তাভাত আর মাছের রাজা ইলিশকে যুক্ত করে বছরটাকে স্বাগত জানানোটাই সঠিক কাজ। পান্তাভাত প্রকৃতার্থে কৃষকের নিজস্ব প্রযুক্তি। কৃষক এক সময়ে দীর্ঘ সময় ভাত পচিয়ে চোলাই মদ তৈরি করেছে। পান্তাভাতের জন্ম হচ্ছে রাতের খাবারের পর অবশিষ্ট থাকা বাড়তি ভাতটাকে পরের দিন খাবার উপযোগী রাখার জন্য প্রক্রিয়াজাত করা। কৃষক কাজটি স্বেচ্ছায় করে না। সম্পদ বা খাদ্য রক্ষার জন্য সে এই কাজটি করে। কারণ তার ঘরে ফ্রিজ থাকে না যে সে ভাতগুলো ফ্রিজে রেখে খাবার উপযোগী রাখবে। এজন্য ভাত সে পানিতে ভিজিয়ে রাখে। পরের দিন সকালে মরিচ বাটা, শুঁটকির ভর্তা বা কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ দিয়ে সকালে নাস্তাটা সেরে ফেলাই কৃষি জীবনের খাদ্যাভ্যাস। আমরা এরই মাঝে বৈশাখের নাগরিকায়ন দেখে আসছি। সেজন্য শখ করে গরম ভাত পানি দিয়ে ভিজিয়ে তার সঙ্গে দামী ইলিশ মাছ যুক্ত করেছি। পান্তাভাত নগরে এসে এর রূপান্তর ঘটাবে সেটা তো স্বাভাবিকই। এর সঙ্গে নগরে বৈশাখেরও রূপান্তর ঘটছে। রমনার বটমূলসহ আরও অনেক স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, মঙ্গল শোভাযাত্রার বাইরেও হোটেলে হোটেলে বিশেষ বাঙালী খাবার এবং বিশালায়তনের মিলনায়তনে বা খোলা মাঠে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। যারা এসব নিয়ে অনেক রক্ষণশীল হয়ে থাকেন তারা এটি ভাবতে পারেন না যে, নতুন বছরের একটি অর্থনীতি আছে। সকল উৎসবেরই আছে। ঈদ মানে একটি ধর্মীয় উৎসব হলেও ঈদ-উল-ফিতর অর্থনীতির একটি বিরাট স্তম্ভ। কোরবানির ঈদেও একটি ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকা- ঘটে যায়। বৈশাখ তার ব্যতিক্রম হতে পারে না। বিশেষ করে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সব কিছুকেই পণ্য বানানো একটি বিশেষ ব্যবস্থা। সব দেশেই নতুন বছর মানে বিশাল বাণিজ্য। ধর্মীয় উৎসবও বিশাল বাণিজ্য। খেলা মানেও যে বাণিজ্য সেটা আমরা ক্রিকেটের সময় হাড়ে হাড়ে টের পাই। এরই মাঝে বৈশাখ একটি বিশাল বাণিজ্য হিসেবে দেখা দিয়েছে। এর বাণিজ্যায়ন আরও ব্যাপক হবে। জনগণের সম্পৃক্ততা যত বাড়বে অর্থের আগমনও তত বাড়বে। বহুজাতিক কোম্পানির পাশাপাশি দেশীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এই বাণিজ্যে নেমে পড়েছে। সংস্কৃতি বা উৎসব বা যাই বলুন না কেন এর রূপান্তরটা ঠেকানো যাবে না। আরও একটি রূপান্তরের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। বিশ্বের বহু দেশে কৃষিযুগ পার হয়ে শিল্পযুগে পৌঁছে যাওয়ায় তারা শিল্পযুগের উপযোগী উৎসব তৈরি করেছে। তবে ওরা এবং আমরা কেউই এর ডিজিটাল রূপান্তরটা করে উঠিনি। এখন কেবল মেইলে, মোবাইলে বা ফেসবুক-টুইটারে শুভেচ্ছা বিনিময় দেখছি। ডিজিটাল যুগে এরও ব্যাপক রূপান্তর ঘটবে। এমনকি যে কৃষি সমাজ থেকে এর সূচনা হয়েছে সেখানেও ডিজিটাল রূপান্তর হবে এবং তারাও নতুন বছরের স্বাগত জানানোকে বদলে দেবে। মোদ্দাকথা, কৃষিযুগ বা শিল্পযুগ থাকবে না; কিন্তু কৃষিযুগের নববর্ষ থাকবে, তবে তা ডিজিটাল হবে। ঢাকা, ১৫ এপ্রিল, ২০১৬ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ [email protected] w.bijoyekushe.net,ww w.bijoydigital.com
×