ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে হামজা ব্রিগেডের ১১ সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশীট

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১৮ মার্চ ২০১৬

চট্টগ্রামে হামজা ব্রিগেডের ১১ সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশীট

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ নগরীর হালিশহর এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক বছর আগে বোমা ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় জঙ্গী সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডের ১১ সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশীট জমা দিয়েছে র‌্যাব। বুধবার রাতে চট্টগ্রাম আদালতে সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এই অভিযোগপত্র পেশ করা হয়। এতে অভিযুক্ত ১১ জনের মধ্যে ১ জন পলাতক, বাকিরা জেল হাজতে রয়েছে। র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, অভিযোগপত্রে আসামি হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই বাড়ি থেকেই। তারা হলো কক্সবাজারের পেকুয়া থানার ফয়জুল হক, তার বোন রহিমা আক্তার, বোনের ছেলে জাহেদুল্লাহ, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের আবদুল হাই। বাকি যে ৭ জনের নাম এসেছে তারা হলো হামজা ব্রিগেডের সামরিক কমান্ডার মনিরুজ্জামান ওরফে ডন, আনোয়ার হোসেন, মোঃ শামসুদ্দিন, রাকিব হাসান, নাসির উদ্দিন খান, পারভেজ ও ফয়জুলের ছোট ভাই আজিজুল হক। গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের গোল্ডেন আবাসিক এলাকার একটি বাড়ির দোতলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং জিহাদী পুস্তক ও প্রচারপত্র উদ্ধার করে র‌্যাব। উদ্ধার করা সরঞ্জামের মধ্যে ছিল ৭৬টি বোমা, ২৪ রাউন্ড গুলি, পাইপ, বোমা তৈরির খালি পাইপ, খালি পানির ফ্ল্যাক্স, ১৫ কেজি এ্যালুমিনিয়াম ডাস্ট, ৩৫ কেজি পটাশিয়াম ক্লোরাইড, ১০ কেজি সালফার, ৮ কেজি সোডিয়াম এমাইড, ৫ লিটার নাইট্রোবেনজিন, চার কেজি আর্সেনিক ডি সালফাইড, ২৮শ’ গ্রাম এমোনিয়াম নাইট্রেড ও ২ কেজি চারকোল। এ ছাড়া ওই বাড়ি থেকে আরও উদ্ধার করা হয় ৮৬ জোড়া জাঙ্গল বুট, ৯৭ জোড়া পিটি সু, ৯৬ জোড়া লাইলন বেল্ট ও ১৮৫ জোড়া মোজা। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে নাশকতার পরিকল্পনার ভয়াবহ ছক। নাশকতার জন্যই এসব বিস্ফোরক ওই বাড়িতে জড়ো করা হয়েছিল বলে স্বীকার করে তারা। এ ঘটনায় র‌্যাব সেভেনের সহকারী পরিচালক এমজি রব্বানি বাদী হয়ে হালিশহর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। শুরুতে কিছুদিন পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তদন্তের দায়িত্বভার ন্যস্ত হয় র‌্যাবের ওপর। উল্লেখ্য, এর ক’দিন আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারীর একটি আস্তানা থেকে জঙ্গী সন্দেহে ১২ জনকে আটক করেছিল র‌্যাব। মূলত ওই সূত্র ধরেই একের পর এক আস্তানার সন্ধান মেলে। বাঁশখালির লটমনি পাহাড়ে পাওয়া যায় জঙ্গী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সন্ধান। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় ৫ জনকে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে অভিযান পরিচালিত হয় নগরীর হালিশহর এলাকায়।
×