ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল মেশিনারি প্রদর্শনী শুরু

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

ঢাকায় আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল মেশিনারি প্রদর্শনী শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, বৈধ বা অবৈধ যেভাবেই হোক ভারত থেকে যে সুতা আমদানি করা হচ্ছে, তা যদি দেশের বস্ত্র খাতের জন্য ক্ষতিকর হয়, তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল এ্যান্ড গার্মেন্টস মেশিনারি প্রদর্শনী-২০১৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বস্ত্র কল মালিক ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুতা আমদানির বিষয়ে আমাদের জানাবেন। এটি যদি বস্ত্র খাতের জন্য ক্ষতিকর হয়, অবশ্যই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সরকারী বস্ত্র কলগুলোর সমস্যার সমাধানে এগুলো বিক্রি না করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে মির্জা আজম বলেন, প্রতিটি বস্ত্রকল কমপক্ষে ৫০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এসব কল-কারখানা সরকার বিক্রি করবে না। পোশাক ও বস্ত্র ব্যবসায়ীরা চাইলে এগুলো তাদের ছোট ছোট প্লট আকারে লিজ দেয়া হবে। এছাড়া ঢাকার আশপাশে টাঙ্গাইল অথবা নারায়ণগঞ্জে কোন বস্ত্র প্রকল্প করতে চাইলে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। এজন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আবেদন করারও আহ্বান জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে বস্ত্র খাতে বর্তমানে ১৩ হাজার বিদেশী দক্ষ জনবল কাজ করে। কিন্তু তাদের যে বেতন দিতে হয়, তা দিয়ে দেশের ৩ লাখ শ্রমিকের বেতন দেয়া যাবে। তাই দেশেই দক্ষ জনবল তৈরি করা এখন সরকারের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতি জেলায় টেক্সটাইল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ব্যয় হবে ২০০ কোটি। আর ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গ্রাম থেকে রাজধানীতে কাজের উদ্দেশে আসা ৯০ শতাংশ লোকই স্বল্পশিক্ষিত। এসব বেকার লোক পোশাক কারখানায় কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু বর্তমানে তৈরি পোশাক খাতে অনেক সমস্যা রয়েছে। অন্যদিকে ২০২১ সালের মধ্যে এ খাত থেকে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয় অর্জন করতে হবে। সব মিলিয়ে বড় চ্যালেঞ্জে রয়েছে পোশাক খাত। সরকারের একান্ত সহযোগিতা না পেলে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা কঠিন হবে। ৪ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি রবিবার পর্যন্ত। যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), তাইওয়ানের চ্যান চাও ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি এবং ইয়োর্কার ট্রেড এ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি। এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ মোট ৩৩টি দেশের ১ হাজার মেশিনারিজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। ১ হাজার ১৬০টি স্টলের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। প্রদর্শনীর মাধ্যমে উদ্যোক্তারা টেক্সটাইল খাতের যন্ত্রপাতি বিশেষ করে স্পিনিং, উইভিং, নিটিং, ডায়িং, ওয়াশিং সেলাইমেশিনসহ অন্যান্য মেশিনারির উন্নত ও সর্বাধুনিক মানের উৎসগুলো সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন।
×