
ছবি: জনকণ্ঠ
যে হাত বাড়িয়ে ভিক্ষা করতেন। সেই হাতকে কর্মের হাতে পরিণত করা আবু বক্করের বিধ্বস্ত ঘরের চালে নতুন টিনের ছাউনির কাজ চলছে। ১৩ জুন তার আকুতির কথা জনকন্ঠের অনলাইন ভার্সনে প্রকাশ পেলে তিন হৃদয়বান ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান তার সহায়তায় এগিয়ে আসেন। এর পর থেকে তার ঘরের চালে নতুন ছাউনির কাজ চলছে।
এর আগে,এক হৃদয়বান ব্যক্তির সহায়তায় ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে পান, চিপস, চকোলেট বিক্রি করেন। পাঁচ বছর আগে থেকে কোনমতে জীবিকার যোগান দেওয়া আবুবক্কর আবারো চরম অসহায় হয়ে পড়েন। তার বিধ্বস্ত দশার ঘরটির টিনের চালটি পরিবর্তনের জন্য ছাউনির টিনের আকুতি জানিয়েছিলেন। ১৩ জুন শুক্রবার জুমার নামাজের পরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের বড় জামে মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে মুসল্লীদের সহায়তা চাইছিলেন। সদা হাসিমুখে কথা বলা আবুবক্কর মসজিদের খাদেমের সাহয়তা গুনে দেখলেন, এক হাজার ১০ টাকা পেয়েছিলেন।
ডান চোখে দেখেন না। বাম চোখেও কম দেখেন। স্ত্রীসহ চার সন্তান নিয়ে আবুবক্করের বলিপাড়া গ্রামের বসত ঘরটি সংস্কার করতে চালের টিনের যোগান হবে কিনা তা নিশ্চিত হতে পারছিলেন না। মুচকি হেসে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই মানুষটি বলেছিলেন, ‘ আল্লায় মিলাইয়া দেবে।’ অসীম বিশ্বাস নিয়ে দোকানের বাক্সটি গলায় ঝুলিয়ে আবার ছুট গেলেন। এই খবরটি পাঠকপ্রিয় পত্রিকা জনকন্ঠের অনলাইন ভার্সনে প্রকাশ হয়। এগিয়ে আসেন মানবিক হৃদয়ের মানুষেরা। তাই দিয়ে চলছে নতুন টিনের ছাউনি। আবুবক্করের কাঠের যোগানও হয়েছে। তবে কাঠমিস্ত্রি খরচের সংকুলান হয়নি। তারপরও নতুন টিনের ছাউনির কাজ শেষের পথে। এতেই আবুবক্কর খুব খুশি রয়েছেন। আক্ষেপে বললেন আমার সঙ্গেও প্রতারণা করে মানুষ টাকাপয়সা নিয়ে গেছে। দুইবারে অন্তত দেড় হাজার।
সাব্বির