ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গণজাগরণের কর্মসূচীতে হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের শাস্তি দাবি

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২৩ জানুয়ারি ২০১৬

গণজাগরণের কর্মসূচীতে হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের শাস্তি দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ পাকিস্তান হাইকমিশন ঘেরাওয়ের কর্মসূচীতে পুলিশি বাধার প্রতিবাদ জানিয়ে গণসমাবেশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। শুক্রবার বিকেলে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ থেকে ‘তদন্ত’ করে হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। মঞ্চের কর্মী শিবলী হাসানের উপস্থাপনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ব্লগার মারুফ রসুল, ভাস্কর রাসা, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সম্পাদকম-লীর সদস্য রহমান মুফিজ, রিয়াজ সোহেল, সঞ্জীবন সুদিপ প্রমুখ। গত বুধবার বিকেলে পূর্বঘোষিত পাকিস্তান হাইকমিশন ঘেরাওয়ের কর্মসূচী পালন করতে গেলে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ধস্তাধস্তিতে আহত হন কয়েকজন। দু’জন কর্মী ও সংগঠককে আটক করা হয়। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে গুলশানে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করে সমাবেশে মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে কোন ধরনের উস্কানি ছাড়াই পুলিশ হামলা চালিয়েছে। নিশ্চয়ই এই হামলার পিছনে কোন উদ্দেশ্য রয়েছে। এটি তদন্ত করে দেখা উচিত। যেসব পুলিশ সদস্য এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা রাব্বী, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা বিকাশসহ সারাদেশে পুলিশী নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা যখন ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে, ঠিক তখনই পুলিশ ন্যক্কারজনকভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে প্রতিনিয়ত অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেখান থেকে জালনোট ছাপানো হচ্ছে। জঙ্গীদের অর্থায়ন করা হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকরের পরপরই গণহত্যার দায় অস্বীকার করে বিবৃতি দিচ্ছে পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করে বক্তব্য প্রদান করা হচ্ছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই আমরা এই কর্মসূচী ঘোষণা করেছিলাম। যারা জঙ্গীবাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে দেশ থেকে জঙ্গীবাদ নির্মূল করা সম্ভব নয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। এই ধরনের ধারাবাহিক আক্রমণ ও হামলা প্রতিহত করেই আমরা রাজপথে রয়েছি, রাজপথে থাকব। ইমরান বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করাই এর একমাত্র সমাধান। পাকিস্তান গণহত্যার দায় স্বীকার করছে না, বাংলাদেশকে এখন পর্যন্ত স্বীকৃতি দিচ্ছে না এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সেহেতু কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে হোক অথবা যে কোনভাবেই হোক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।
×